বোলপুরের প্রধান আকর্ষণ শান্তিনিকেতন শুধু নয়, এখানকার সোনাঝুরির হাটেরও বেশ সুনাম রয়েছে। পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই এই হাট দেখতে আসেন। এখানে প্রায় হাজারখানেক ব্যবসায়ী তাদের পসরা নিয়ে বসেন। কেনাকাটাও হয় দেদার। কিন্তু এবার সেই সোনাঝুরির হাটকে কেন্দ্র করে এল একটা দুঃসংবাদ। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাট নাকি উঠে যাবে। কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত?
বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর বেআইনি জবরদখল তুলতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় অবৈধ দোকান তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে প্রবল বিতর্কও হচ্ছে। হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তোলপাড় কলকাতা। একই অবস্থা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটেও। এখানকার ৬টি বাড়ি এবং দুটি রিসোর্টকে এরই মধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে সোনাঝুরি হাটের জমি নাকি বনদপ্তরের। তাই সোনাঝুরি হাট কর্তৃপক্ষকেও নোটিশ দেওয়া হতে পারে। প্রয়োজন হলে হাট তুলে দেওয়া হতে পারে। শান্তিনিকেতনের কয়েকটি হোটেল এবং রিসোর্টকে নথি দিতে বলা হয়েছে। তবে সোনাঝুরি হাটের কর্তৃপক্ষের কাছে এই ধরনের কোনও নোটিশ এসে পৌঁছায়নি। যদি আসে তাহলে পুনর্বাসনের দাবি জানাবেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে শান্তিনিকেতনের যে বাড়ি এবং রিসোর্টের মালিকদের কাছে নোটিশ পৌঁছেছে তারা জানিয়েছেন বন দপ্তরের জমি হলে তারা ছেড়ে দেবেন। আইন আইনের কাজ করবে। বাড়ি এবং রিসোর্টের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। কাগজগুলো বৈধ নাকি অবৈধ তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : ভরা বর্ষায় ঘোরার জন্য বাংলার সেরা ৯ জায়গা
আরও পড়ুন : টোটো বন্ধ! এবার শান্তিনিকেতন ঘুরবেন কীভাবে? চালু হলো নয়া উদ্যোগ
এদিকে সোনাঝুরির হাট তুলে দেওয়ার কথা শুনে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ এখানে প্রায় এক হাজার ব্যবসায়ীর রুটিরুজি জড়িয়ে রয়েছে। যদি হাট উঠে যায় তাহলে তাদের পথে বসতে হবে। অন্যদিকে পর্যটকরাও এই সিদ্ধান্তে বেশ অখুশি। কী হয় এখন সেটাই দেখার।