ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য রাজবাড়ি। অসংখ্য প্রাসাদ এবং দুর্গ রয়েছে, যেখানে একসময় ছিল রাজা-রাজড়াদের বাস। কয়েকশ বছর পেরিয়ে আজও সেইসব রাজবাড়ী কিংবা প্রাসাদ বা দুর্গ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন সেসব বেশিরভাগই পর্যটন স্থলে পরিণত হয়েছে। চাইলে আপনিও এরকম রাজবাড়ীতে থাকতে পারেন। তার জন্য কিছু টাকা অবশ্য আপনাকে দিতে হবে।
উমেদ ভবন প্রাসাদ
রাজস্থানের যোধপুরের উমেদ ভবনে থাকতে পারেন। ১৯২৮ সালে মহারাজা উমেদ সিংয়ের শাসনকালে এই প্রাসাদের নির্মাণ হয়েছিল। এখানে ৭০ টি আর্ট ডেকোর স্যুট রয়েছে। এই প্রাসাদের একটি অংশ বর্তমানে তাজ হোটেলের অন্তর্গত। রাজ পরিবারের সদস্যরা প্রাসাদের একটি অংশে বসবাস করেন। এখানে থাকার জন্য দিন পিছু ২১ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
রামবাগ প্যালেস
রাজস্থানের জয়পুরে রয়েছে রামবাগ প্রাসাদ। জয়পুরের মহারাজা এই প্রাসাদের নির্মাণ করেছিলেন। এখন এখানে হোটেল তৈরি হয়েছে। এই রামবাগ প্রাসাদে রয়েছে সুন্দর বাগান। এক রাত এখানে থাকার জন্য ২৪ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
লেক প্যালেস
উদয়পুরের লেক প্যালেস আসলে ছিল জগনিবাস। মেওয়ারের রাজ পরিবার এখানে বসবাস করতেন। রাজা এবং রানীরা এখানে গরমের সময় আসতেন। এই সাদা মার্বেলের প্রাসাদে ৮৩ টা ঘর এবং সুইটস আছে। রাজস্থানের জগ নিবাস দ্বীপের ডান দিকের লেক পিচোলাতে ৪ হাজার একর জমির উপর এই প্রাসাদ তৈরি হয়েছে। অতিথিদের নৌকায় করে প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফলকনামা প্রাসাদ
এই প্রাসাদ রয়েছে হায়দ্রাবাদে। হায়দ্রাবাদের নিজাম এখানে থাকতেন। ২০০০ সালে এখানে হোটেল গড়ে ওঠে। এখানে থাকতে গেলে দিন পিছু ২৪ হাজার টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
আরও পড়ুন : রথে পুরী যাবেন? চালু হল স্পেশ্যাল ট্রেন, জানুন সময়সূচি
আরও পড়ুন : ট্রেন নয়, যেন ফাইভ স্টার হোটেল! ভাড়াও নাগালেই, শতাব্দী এক্সপ্রেসে জুড়লো নতুন কোচ
সামুদ প্যালেস
এই প্রাসাদ রয়েছে রাজস্থানে। রাজস্থানের অম্বর এবং জয়পুরে মহা রাওয়াল বা মহা সাহেবদের বাসভবন ছিল এই সামুদ প্রাসাদ, সামুদ হাভেলি এবং সামুদ বাগ। এই প্রাসাদটির স্থাপত্যে রাজপুত এবং মুঘলদের ছোঁয়া রয়েছে। এখানে একটি বিলাসবহুল হোটেল গড়ে উঠেছে বর্তমানে।