সারা সপ্তাহ জুড়ে কাজের পর শনি এবং রবিবার যে দুদিন ছুটি পাওয়া যায় তাতে ধারে কাছে কোনও টুরিস্ট স্পট থেকে ঘুরে আসাই যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন ৪ টি জায়গার নাম রইলো যেগুলো মাত্র দু’দিনেই ঘুরে ফেলতে পারবেন। কলকাতার খুব কাছেই এই ৪ জায়গা। দেখুন এক নজরে।
রোহিনী
ঝাড়গ্রামের কাছেই রয়েছে রোহিণী গ্রাম। খড়গপুর থেকে বাস কিংবা অটোতে করে এখানে পৌঁছতে পারবেন। এখানে হোমস্টে পাবেন থাকার জন্য। সুন্দর সাজানো নিরিবিলি এই গ্রামে দুদিন গরুর গাড়ি চেপে, মাছ ধরে, পুকুরে স্নান করে এবং উন্নতমানের পুষ্টিকর খাবার খেয়ে ও গ্রামের মানুষের আতিথেয়তায় মন ভরে যাবে।
মায়াপুর
নদীয়া জেলার মায়াপুরে ঘুরে আসতে পারেন। গঙ্গা এবং জলঙ্গী নদীর তীরে অবস্থিত বৈষ্ণব এবং হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান মায়াপুরে ইসকন মন্দির, শ্রী চৈতন্য মঠ, চাঁদ কাজীর সমাধি, শ্রী দেবানন্দ গৌড়ীয় মঠ এবং যোগপীঠ রয়েছে। এছাড়া গঙ্গায় নৌকা বিহার, সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে ভুলবেন না।
চাঁদিপুর
উড়িষ্যার বালাশোরের চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে আসতে পারেন। উড়িষ্যতে শুধু পুরী নয়, চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতেরও বেশ নাম ডাক রয়েছে। ভুবনেশ্বর থেকে এই জায়গার দূরত্ব ২০৭.৫ কিলোমিটার। এখানে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, দেবকুন্ডু জলপ্রপাত, নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, খিরাচরা গোপীনাথ মন্দির, বুড়িবালাম নদীর মোহনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় বেড়ানোর জন্য বাংলার সেরা ১০ টুরিস্ট স্পট
আরও পড়ুন : উইকেন্ড ট্রিপে ঘুরে আসুন হাজারদুয়ারি, চালু হল ওয়াটার পার্ক, ড্রাই পার্কসহ একাধিক সুবিধা
বাংরিপোসি
কলকাতা থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উড়িষ্যায় এই জায়গাতে পাহাড় এবং জঙ্গল দেখতে পাবেন। এই পাহাড় আসলে পূর্বঘাট পর্বত মালার অংশ। পাহাড় এবং জঙ্গল ছাড়া এখানে ঝর্ণা, নদী রয়েছে। এখানে ট্রেকিং করতে পারবেন। এছাড়া সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান, জোরান্দা এবং বরেহিপানি ঝরণা, ঠাকুরানি পাহাড়, বাঁকাবল হ্রদ ইত্যাদি।