ভূত আছে নাকি নেই? সেই নিয়ে চর্চা বিস্তর। কেউ বলেন ভূত মনের ভুল। আবার কেউ কেউ স্বচক্ষে ভূত দেখেছেন বা ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। আমাদের ভারতের আনাচে-কানাচে এরকম অনেক ভুতুড়ে স্থান রয়েছে যেখানে গেলে নাকি ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো ভারতের ৬ হন্টেড হাউজের নাম ও ঠিকানা।
মুলিঙ্গর প্রাসাদ
উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত মুলিঙ্গর প্রাসাদ অভিশপ্ত বলে ধরা হয়। ১৮২৫ সালে এই প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ক্যাপ্টেন ইয়ং নামের একজন আইরিশ ম্যান। বাড়ি তৈরির কয়েক বছরের মধ্যে ক্যাপ্টেনের মৃত্যু হয়। কিন্তু তার মৃত্যুর পরেও তার দেখা পেতেন স্থানীয় মানুষেরা। এখনও নাকি গভীর রাতে ওই এলাকা দিয়ে কেউ গেলে ক্যাপ্টেন ইয়ং তার পথ আটকে দাঁড়ান।
কুন্দনবাগের ডাইনির ডেরা
হায়দ্রাবাদে অবস্থিত কুন্দনবাগ। এখানকার একটি বাড়িকে কেন্দ্র করেও অনেক গালগল্প রয়েছে। একবার নাকি এই বাড়িতে একজন চোর চুরি করতে এসে তিন মহিলার মৃতদেহ দেখতে পায়। পুলিশ পোস্টমর্টেম করে জানতে পারে ওই তিন মহিলার মৃত্যু অন্তত তিন মাস আগে হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশীরা দাবি করতে থাকেন তারা একদিন আগেও মা ও তার দুই মেয়েকে দেখেছেন। তাদের ঘরে মাঝরাতে মোমবাতির আলো জ্বলতে দেখেছেন।
দিল্লির GK-II-এ হাউস নম্বর W-13
এই বাড়িতে এক বৃদ্ধ দম্পতি খুন হয়েছিলেন। তাদের অতৃপ্ত আত্মা নাকি আজও ঘুরে বেড়ায়। প্রতিবেশীরা বহুবার তাদের নাকি বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে ও জানালার বাইরে তাকাতে দেখেছেন। তাদের মিনতি এবং কান্নার আওয়াজ শুনেছেন।
মুম্বাইয়ের আশীর্বাদ বাংলো
প্রয়াত অভিনেতা রাজেশ খান্নার বাংলো বাড়ি হল আশীর্বাদ। একজন পার্সি ব্যবসায়ীর থেকে এই বাড়িটি কিনেছিলেন রাজেশ খান্না। বাড়িটি নাকি ভূত বাংলো। এমনই রটনা রয়েছে বলিউডের অন্দরে।
মহিমের ডি’সুজা চৌল
মুম্বাইয়ের মহিম অঞ্চলে রয়েছে ডি’সুজা চৌল। এই বাড়িতে একটি কুয়ো রয়েছে। একজন মহিলা এই কুয়ো থেকে জল তুলতে গিয়ে এখানে পড়ে মারা যান। তারপর থেকে নাকি তার আত্মা এই এলাকাতে ঘুরে বেড়ায়। অনেক স্থানীয় মানুষ তাকে দেখেছেন বলে দাবি করেন।
আরও পড়ুন : ভারতের এই জায়গাগুলোতে সন্ধ্যের পর গেলে আর ফেরে না কেউ
আরও পড়ুন : সব স্ট্রেস ভুলে মানসিক শান্তি আসবে! ঘুরে আসুন দক্ষিণ ভারতের কাশী থেকে
ডি’মেলো হাউস
গোয়ার সান্তেমলের ডি’মেলো হাউস একটি ভুতুড়ে জায়গা। এটা দুই ভাইয়ের সম্পত্তি ছিল। সম্পত্তির লোভে এক ভাই আরেক ভাইকে খুন করেন। রাতে মৃত ভাইয়ের চিৎকার আজও এখানে শোনা যায়।