বিশাল এই পৃথিবী কতই না রহস্য ভরা। কত কিছুই না এখানে ঘটে যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং তিব্বতের মধ্যবর্তী সীমানায় অবস্থিত এমনই এক রহস্য উপত্যকা যুগে যুগে মানুষের মনে প্রশ্ন উদ্রেক করেছে। বলা হয় এখানে নাকি লুকিয়ে আছে ফোর্থ ডাইমেনশন। যেখানে গেলেই হারিয়ে যান মানুষ অন্য জগতে।
জায়গার নাম শাংরি লা। না, গুগল ম্যাপে খুঁজে পাবেন না এই জায়গার নাম। এই জায়গাটি নাকি অদৃশ্য। এশিয়ার কুনলুন পর্বতমালার কোলে অবস্থিত এই উপত্যকা। এখানকার মানুষদের নাকি বয়স বাড়ে না। দেশ-বিদেশের বহু গল্প এবং উপন্যাসে এই জায়গার নাম রয়েছে। এখানকার মানুষেরা নাকি অমর। তাদের বয়স খুব ধীর গতিতে বাড়ে।
১৯৩০ সালে প্রথম শাংরি লা উপত্যকার নাম শোনা যায়। ভারত থেকে পেশোয়ারগামী একটি বিমান এখানে ভেঙে পড়েছিল। সেই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়ে ৪ ব্যক্তি শাংরি লা উপত্যকায় চলে আসেন। তারা নিজেদের চোখে দেখেছেন ওইখানে বিভিন্ন সাধু সন্ন্যাসীদের বয়স থমকে রয়েছে। তারাও এরপর সেখানে থেকে যান। আর ফিরে আসেননি।
অরুণ শর্মার লেখা দা মিস্টেরিয়াস ভ্যালি অফ তিব্বত বইতে রয়েছে বায়ুমণ্ডলের ফোর্থ ডাইমেনশন বা চতুর্থ মাত্রায় রয়েছে এই উপত্যকা। প্রাচ্যের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বলা হয় একে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে যেমন মানুষসহ বহু বড় বড় বিমান, জাহাজ অদৃশ্য হয়েছে এখানেও নাকি এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। যারা এখানে গিয়েছেন তাদের নাকি আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুরো অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন এই জগত থেকে।
আরও পড়ুন : মহিলা পুরোহিত দিয়ে হয় পূজো! ভারতের এই ৪ মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ
আরও পড়ুন : সব স্ট্রেস ভুলে মানসিক শান্তি আসবে! ঘুরে আসুন দক্ষিণ ভারতের কাশী থেকে
অনেকে মনে করেন শাংরি লা উপত্যকা বহিঃ বিশ্বের প্রবেশদ্বার। কোনও ব্যক্তি বা বস্তু এই জায়গায় প্রবেশ করলে তারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য বিশ্বে চলে যান। চীনের সেনাবাহিনী বহুবার এই জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বেদ, মহাভারত, রামায়ণে এই জায়গার উল্লেখ রয়েছে। তিব্বতি ধর্মগ্রন্থতেও এই জায়গার উল্লেখ পাওয়া যাবে। আসলে গোটা বিশ্বের তন্ত্র জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনকারীদের কাছেই এই জায়গা অত্যন্ত পবিত্র।