ভূতে বিশ্বাস করুন বা না করুন, ভুতুড়ে আলোচনাতে সামিল সকলেই হতে চান। ভূত আছে কি নেই সেই নিয়ে তো চর্চা বিস্তর। সত্যি ভূতের দেখা পেয়েছেন ক’জন? সত্যি ভূতের দেখা কি পেতে চান আপনি? তাহলে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না কিন্তু। এই বাংলাতেই রয়েছে এমন একটি ভুতুড়ে জায়গা যেখানে অনেকেই ভূতের দেখা পেয়েছেন। আপনিও ভূত দেখতে চান? তাহলে জানুন এই জায়গা সম্পর্কে।
ভারতবর্ষে বেশ অনেকগুলো ভুতুড়ে জায়গা রয়েছে। বাংলাতেও রয়েছে এরকম একটি জায়গা। নাম তার কার্শিয়াং। এই কার্শিয়াং নাকি ভারতের সবথেকে ভৌতিক শৈল শহর। বিশেষ করে কার্শিয়াংয়ের ডাউহিলকে সব থেকে ভুতুড়ে হিল স্টেশন বলা হয়। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাতে নাকি অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটে। যার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেন না কেউ।
কার্শিয়াংয়ের ডাউহিল এতটাই কুখ্যাত যে এখানে নাকি ফরেস্ট অফিস যাওয়ার রাস্তায় অনেকেই এক মুন্ডুহীন কিশোরকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন। রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে আচমকাই কুয়াশাতে মিলিয়ে যায় সে। স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই অনেক পর্যটকও এমন ঘটনা নিজের চোখে দেখেছেন বলে দাবি করেন।
অনেকে বলেন ডাউহিলের জঙ্গল নাকি অভিশপ্ত। এই জঙ্গলে গেলে পর্যটকদের অদ্ভুত অনুভূতি হয়। সবসময় মনে হয় কেউ যেন নজর রাখছে। যেন লাল চোখের কেউ আপনাকে এক দৃষ্টে দেখছে। আপনি সেদিকে তাকালেই মনে হবে কেউ যেন ঘন জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে গেল। অনেকে এখানে এক অতৃপ্ত নারী আত্মাকে দেখেছেন বলে দাবী করেন।
ডাউহিলের একটি স্কুলকে কেন্দ্র করেও এমনই সব গায়ে কাঁটা দেওয়া খবর রয়েছে। এখানে প্রায় ১০০ বছরের পুরনো একটি স্কুল রয়েছে। যার নাম ভিক্টোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল। এখানে নাকি রাতে অশরীরী আত্মাদের পায়ের শব্দ শোনা যায়। এখানে নাকি বেশ কিছু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। এর পাশাপাশি ডাউহিল গার্লস হাই স্কুলেও এমন সব ঘটনা ঘটে। রাতে স্কুলের উঠোনে ছোট ছোট শিশুদের দৌড়াদৌড়ির আওয়াজ শোনা যায়। সব থেকে আশ্চর্যজনক শীতে যখন এই স্কুল ৪ মাসের জন্য বন্ধ থাকে তখনও বাচ্চাদের আওয়াজ শোনা যায় রাতে।
তবে শুধু ভূত নয়, কার্শিয়াংয়ে দেখার মত অনেক ভালো ভালো জিনিসও কিন্তু আছে। যেমন এখানে ঈগলস ক্র্যাক ভিউ পয়েন্ট থেকে গোটা পাহাড়ের ভিউ পাবেন। মকাইবাড়ি চা বাগানে বসে চা খেতে পারবেন, কমলালেবুর গ্রাম সিটং ঘুরে দেখতে পারবেন। এখান থেকে কাছাকাছির মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ঘুরতে পারবেন।
আরও পড়ুন : মাত্র ১৬০০ টাকায় থাকা-খাওয়া! কালিম্পংয়ের এই অফবিট গ্রামে খুব কাছ থেকে দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘা
আরও পড়ুন : সবুজে ঘেরা জঙ্গল, নিরিবিলি পরিবেশ, পাখির ডাক! বর্ষায় ঘুরে আসুন মুনথুম ভ্যালি
কীভাবে যাবেন কার্শিয়াং?
বেড়ানোর জন্য এখানে আদর্শ সময় মার্চ থেকে মে মাস এবং আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস। শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে বা শেয়ার জিপে কার্শিয়াং যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি থেকে বাস ছাড়ে। তখনও যেতে পারবেন।