বর্ষার সময় প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য যারা পাহাড়ের কোনও অফবিট লোকেশনের খোঁজে রয়েছেন তাদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন। শহরের ভিড়ভাট্টা কোলাহল থেকে দূরে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারবেন নির্জন পাহাড়ের কোল থেকে। এমনই এক জায়গার সন্ধান রইল আজকে। জেনে নিন কোথায় যাবেন।
বর্ষার সময় পাহাড়ি নির্জনতার মধ্যে কিছুদিন কাটানোর জন্য যেতে পারেন মুনথুম ভ্যালি। এই অফবিট লোকেশনের খবর খুব বেশি মানুষ জানেন না। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। এখানে মাত্র ১০-১২ টি পরিবারের বাস রয়েছে। এখানে বাইরের মানুষের কোলাহল, দূষণ কোনও কিছুই নেই। প্রকৃতি এখানে শান্ত, শীতল এবং নির্মল।
মুনথুম কথার অর্থ চাঁদ কা উজালা অর্থাৎ পূর্ণিমা। পূর্ণিমার রাতে এই গ্রামকে অপূর্ব সুন্দর দেখতে লাগে। তার স্থানীয়রা এই নাম দিয়েছেন। এই গ্রামের চারপাশ ঘন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা। হরেক রকম পাখির ডাক শোনা যায়। বর্ষার সময় নদীর স্রোতের আওয়াজ কানে আসবে। কয়েকটা দিন ছুটি কাটিয়া আসতে পারবেন অনায়েসেই।
এখানে বেশ কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে। থাকার জন্য সেগুলোকে বেছে নিতে পারেন। পাহাড়ের ঢাল বরাবর বাঁশ এবং বেত দিয়ে তৈরি হয়েছে কটেজ। চারপাশে রয়েছে অনেক গাছ। এখান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখার মজাই আলাদা। এখান থেকে কালিম্পং শহর দেখা যায়।
আর এই জায়গাতে রয়েছে পানবুদারা ভিউ পয়েন্ট। যে ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রী ভিউ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে তিস্তা নদীও দেখা যায়। এখানে থাকা এবং খাওয়ার খরচ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। বাজেটের মধ্যে যদি পাহাড় ভ্রমণ করতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে।
আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়েই লুকিয়ে অফবিট ঝর্ণার গ্রাম! না গেলে পস্তাবেন
আরও পড়ুন : বর্ষাকালে বেড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সেরা ১০ টি জায়গা
কীভাবে যাবেন?
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে গাড়ি ধরে মুনথুম ভ্যালি যাওয়া যায়। আবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেও সড়ক পথে যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি থেকে এই জায়গার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। গাড়ি শেয়ার করে বা রিজার্ভ করে নিতে হবে।