আগামী ৭ জুলাই রথযাত্রা। জগন্নাথদেবের দর্শনের জন্য এই সময় অনেকেই পুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। তবে ভিন রাজ্যে যাওয়ার দরকার কি? এই বাংলাতেও একাধিক জায়গাতে রথ যাত্রার অনুষ্ঠান হয় ধুমধাম করে। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল বাংলার এমন ১০ জায়গার রথের অনুষ্ঠানের তালিকা। এইবারের রথযাত্রা কাটিয়ে আসতে পারেন এই জায়গাগুলো থেকে। দেখে নিন তালিকা।
মায়াপুরের রথযাত্রা
নদীয়ার মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা বেশ বিখ্যাত। প্রায় ৫০০ বছর আগে থেকে এখানে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার পূজা হয়ে আসছে। প্রত্যেক বছর এখানে মায়াপুর এবং রাজাপুর গ্রামের রথ উৎসব পালন হয়। রথ উপলক্ষে কীর্তন, বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠান চলে।
মাহেশের রথ
হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের রথের উৎসব কার্যত ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং বাংলার প্রাচীনতম উৎসব। চতুর্দশ শতকে এখানে রথযাত্রার সূচনা করেন বাঙালি সন্ন্যাসী ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী। বর্তমানে যে রথ টানা হয় প্রত্যেক বছর তা ১৩০ বছরের পুরনো। ১২ টি লোহার চাকা এবং ২টি তামার ঘোড়া রয়েছে রথে। রথের আগে অঙ্গরাগ এবং রথযাত্রা থেকে এখানে মেলা বসে।
মহিষাদলের রথযাত্রা
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রাও বেশ বিখ্যাত। এই উৎসব প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। মহিষাদলের জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী দেবী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ১৯৭৬ সালে। সেই থেকে আজও এখানে ধুমধাম করে রথের উৎসব পালন হয়।।
গুপ্তিপাড়ার রথ উৎসব
গুপ্তিপাড়ার রথের উৎসব দেখার জন্য প্রত্যেক বছর বহু মানুষ অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসে উপস্থিত হন। উৎসব উপলক্ষে এখানে প্রত্যেক বছর মেলা বসে। রথের দিন ৪০ কুইন্টাল খাবার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান চলে ৯ দিন ধরে।
আরও পড়ুন : টেরাকোটা মন্দিরের ছড়াছড়ি! ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে ঘুরে আসুন পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রাম থেকে
আরও পড়ুন : লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ! পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে এলো বড় আপডেট
এছাড়াও বাংলাজুড়ে আরও অন্যান্য বিখ্যাত রথযাত্রার উৎসব পালন হয়। যেমন রাজাবলহাটের রথযাত্রা। এখানে রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা থাকেন না। থাকেন রাধা-কৃষ্ণ। বর্ধমানের মেমারির আমোদপুরের রথযাত্রার অনুষ্ঠান প্রত্যেক বছর ধুমধাম করে পালন হয়। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমোদপুরের জমিদারবাড়ি। এছাড়াও বারুইপুরে রায় চৌধুরী বাড়ির রথযাত্রা, কালনার রাজবাড়ির রথযাত্রা, বর্ধমান রাজবাড়ির রথযাত্রা এবং কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ইসকনের রথযাত্রা খুবই বিখ্যাত।