২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠনের পর তৃতীয় মন্ত্রিসভাতেও অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব গিয়েছে নির্মলা সীতারামানের উপর। গত শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে জিএসটি নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তার মধ্যে অন্যতম ছিল রেলের বেশ কিছু পরিষেবায় জিএসটি ছাড়ের সিদ্ধান্ত। কী কী সেগুলো? জেনে নিন।
জি এস টি কাউন্সিলের ৫৩ তম বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন এতদিন ভুয়ো ইনভয়েসের মাধ্যমে আধার যাচাই করা হত। তবে এবার বায়োমেট্রিক নির্ভর আধার কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। গুজরাট এবং পন্ডিচেরিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। তাতে সফলতা মিলেছে বলেই এবার দেশজুড়ে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা ভারতীয় রেলের যে পরিষেবাগুলো ব্যবহার করে থাকেন সেগুলোকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হবে। এই প্রস্তাব অনুসারে বেশ কিছু পরিষেবায় জিএসটিতে ছাড় মিলবে। যেমন এর মধ্যে রয়েছে প্লাটফর্ম টিকিট, ওয়েটিং রুম, রিটায়ারিং রুম, ব্যাটারি চালিত গাড়ির পরিষেবা।
রেলের এই সাধারণ পরিষেবার উপর থেকে জিএসটি সরে যাওয়ার কারণে বেশ উপকৃত হবেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে শুধু রেল নয়, জিএসটি নিয়ে আরও একাধিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলগুলোতে যারা থাকেন কিংবা থাকবেন তাদের এবার থেকে আর থাকার জন্য জিএসটি দিতে হবে না। এতদিন হোস্টেলে থাকার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের যে জিএসটি দিতে হত তা মকুব করে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন : গাড়ি কিংবা বাসের সব থেকে নিরাপদ সিট কোনটি? কোন সিটে বসলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম?
আরও পড়ুন : বিনা টিকিটে যাত্রা করলেই কোর্টে চালান! হাওড়া স্টেশনে জারি কড়া নিয়ম
অন্যদিকে আরও বেশ কিছু বিষয়ে জি এস টি কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই অধিবেশনে। যেমন সোলার কুকারের উপর জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। কার্টেন বক্সের ক্ষেত্রে জিএসটির হার কমানোর প্রস্তাব হয়েছে। তবে পেট্রল কিংবা ডিজেল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি এই বৈঠকে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলেছেন পেট্রোল-ডিজেলকেও জিএসটির আওতায় আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।