পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলাতেই একাধিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। পাহাড়-জঙ্গল নদী থেকে শুরু করে সমুদ্র, মন্দির, যার যেমন পছন্দ তিনি সেই মত ঘোরার জায়গা বেছে নিতে পারেন এই বাংলা থেকেই। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল জঙ্গলে ঘেরা সারি সারি মন্দিরের এক অফবিট জায়গার হদিশ। যেখানে আপনি এক-দুদিনের ছুটি কাটিয়ে আসতে পারবেন আরামসে।
কোথায় যাবেন?
গরমের প্রচন্ড তাপপ্রবাহ থেকে দূরে ঘুরে আসুন বীরভূমের শান্ত ও শীতল জায়গা গণপুর জঙ্গল থেকে। জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গা আপনার মন জয় করবেই। এখানে আশেপাশের মনোরম পরিবেশ দেখলেই মন ভরে যাবে। তার উপরে আবার বেড়ানোর জন্য রয়েছে বহু প্রাচীন মন্দির।
কী কী দেখবেন?
গণপুরের পরিবেশ খুবই শান্ত এবং মনোরম। বাঁধের রাস্তা ধরে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে শিবপাহাড়ি মন্দিরে যাওয়া যায়। এখানে কালাপাহাড় শিবের পূজা হয়। এখানে মহাদেবের নাম শ্রী শ্রী বাবা সিদ্ধনাথ। এই মন্দির নাকি ৫০০ বছরের পুরনো। মন্দিরের ভেতর রয়েছে বড় একটি শিবলিঙ্গ।
এই মন্দিরে মহাদেবের নিত্য পূজো হয়। শিবরাত্রি এবং শ্রাবণ মাসে এখানে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। বহু মানুষের আগমন হয় তাতে যোগ দিতে। মন্দির দেখা এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ঘোরার মধ্যে ভালোই সময় কাটাতে পারবেন। এরপর তারাপীঠ ঘুরতে গেলে অবশ্যই গণপুর জঙ্গল ঘুরে আসবেন।
কীভাবে যাবেন?
বীরভূমের রামপুরহাটে নেমে তারপর সেখান থেকে ২১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পড়বে গণপুর জঙ্গল। রামপুরহাট থেকে সিউড়ি যাওয়ার পথে মল্লারপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরেই পড়বে গণপুর। কলকাতা বা হাওড়া স্টেশন থেকে মল্লারপুর স্টেশন, রামপুরহাট স্টেশন বা তারাপীঠ স্টেশনে নামতে পারেন। তবে গণপুর থেকে সবথেকে কাছে পড়ে মল্লারপুর স্টেশন।
আরও পড়ুন : পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখুন কলকাতা! কোথায় কোথায় যাবেন? কী কী দেখবেন?
আরও পড়ুন : মাত্র ১৫০০ টাকায় থাকা-খাওয়া! এই অফবিট পাহাড়ি গ্রাম থেকে ঘুরে এলে মন ভালো হবেই
কোথায় থাকবেন?
গণপুরে কোথাও থাকার সেরকম ব্যবস্থা নেই। রামপুরহাট রেঞ্জের মল্লারপুর বিটে রয়েছে গণপুর বড়বাংলা। তবে এখানে থাকার জন্য বীরভূমের সিউড়ির ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের থেকে পারমিশন নিতে হবে। এর জন্য ফোন করতে পারেন ০৩৪৬২-২৫৫২৬২ এই নম্বরে। এছাড়া রামপুরহাট বা সিউড়িতে থাকার জন্য প্রচুর হোটেল পাবেন।