প্রত্যেকদিন জরুরি প্রয়োজনে বাসে কিংবা ট্রেনে সফর করেন কয়েক কোটি মানুষ। তবে যাত্রা যে সবসময় নিরাপদ হয় না তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। এইতো হালফিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মালগাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা মারার কারণে এক্সপ্রেস ট্রেনের শেষের দিকের কামরার বহু মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছেন। জানেন কি বাসে কিংবা ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সব থেকে নিরাপদ আসন কোনগুলো?
বাস বলুন, ট্রেন কিংবা সাধারণ চারচাকা গাড়ি, সব ক্ষেত্রে কিন্তু সব সময় মাঝের সিটই বেছে নিতে হয়। যদি আপনি ৭ আসনের চার চাকা গাড়িতে যাতায়াত করেন সে ক্ষেত্রে মাঝের সারিতে বসুন। সামনে থেকে কিংবা পিছন থেকে দুর্ঘটনা ঘটলে তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই কারণেই শিশু এবং বয়স্কদের মাঝের সারিতে বসানোর নিয়ম রয়েছে।
যদি আপনি বাসে যাতায়াত করেন তাহলে মাঝের চাকার উপরের সিটে বসুন। এর জন্য বাসের ৩০ থেকে ৩৫ নম্বরের মধ্যে সিট নেওয়ার চেষ্টা করুন। বাসের মাঝখানের টায়ারের উপর যে সিটগুলো রয়েছে সেগুলোকে সব থেকে নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়। একই নিয়ম খাটবে ট্রেনের জন্যও। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
যদি আপনি ট্রেনে যাতায়াত করেন তাহলে সব থেকে ভালো হয় যদি মাঝের কামরার সিট বুক করেন। ট্রেনের প্রথম দিকের এবং পেছনের দিকে কামরাগুলোতে না উঠে বরং মাঝের কামরায় থাকার চেষ্টা করুন। আরও ভালো হবে যদি ট্রেনের কামরার মাঝামাঝিতে সিট নেন। বা যদি মাঝের কামরা নাও পান সেক্ষেত্রে যেকোনও কামরার মাঝামাঝিতে থাকার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন : ভারতীয় রেলের LHB কোচ কী? কেন কখনোই দুর্ঘটনা ঘটে না এই কামরায়?
আরও পড়ুন : কীভাবে লোয়ার বার্থের সিট বুকিং করবেন? জেনে নিন টিকিট বুকিংয়ের নিয়ম
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ট্রেনের বগিতে মাঝারি আসন বুক করা মানে কিন্তু মিডলবার্থ বুক করা নয়। মাঝের আসল মানে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বরের মধ্যে আসন। একটি এসি ৩ টায়ারের কোচে ৭২ টা আসন থাকে। আপনাকে হিসেব করে মাঝামাঝিতে আসন নিতে হবে। এতে দুর্ঘটনা ঘটলেও তার তীব্রতা ট্রেনের আগে এবং শেষের কামরায় থাকা যাত্রীদের তুলনায় মাঝের কামরার যাত্রীরা কম টের পাবেন।