ভারী বর্ষায় ভাসছে উত্তরবঙ্গ। যারা প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটক বেড়াতে গিয়েছেন সকলেই আটকে পড়েছিলেন। প্রায় ২ হাজার পর্যটক উত্তরবঙ্গে আটকে ছিলেন বলে খবর। তাদের অনেকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। দার্জিলিংয়ের প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তার জল উপচে পড়ছে। যার ফলে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গে।
যারা বৃষ্টিতে পাহাড় দেখার জন্য কালিম্পং গিয়েছেন বর্তমানে তারা পড়েছেন সমস্যায়। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ফিরতে পারছেন না। আবার প্রশাসনের তরফ থেকেও বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিতে যেন কোনভাবেই তারা রাস্তায় না বের হন। বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং-কালিংপংয়ের ১০ নম্বর সড়ক পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তিস্তার জল বেড়ে গিয়ে পেশকের রাস্তার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। ওই রাস্তাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে এখন।। তিস্তা বাজার এবং সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও এখন ওই রাস্তা এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে। কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
তবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি এখনই। রাস্তার একাধিক জায়গাতে যেহেতু জল চলে এসেছে তাই সাবধানে ওই রাস্তায় যাতায়াতের কথা বলা হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া বেশ কিছু জায়গাতে ধস নামারও আশঙ্কা রয়েছে। কিছু কিছু জায়গাতে সতর্কতা জারি হয়েছে।
ধসের কারণে সতর্কতা জারি হয়েছে লিকুভির, রবিঝোরা এলাকাগুলোতে। অন্যদিকে সিকিম, দার্জিলিং, কালিংপংয়ে প্রবল বৃষ্টির দাপট চলছে। কালিম্পং-দার্জিলিং সড়কের উপর দিয়ে যেহেতু জল বইছে তাই রয়েছে বিপদের সতর্কতা। উত্তরবঙ্গে এরকম দুর্যোগের পরিস্থিতি চলবে আরও ৪-৫ দিন।
আরও পড়ুন : সিকিমে গাড়ি ভাড়া বেশি চাইলে ফোন করুন এই নম্বরে! কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
আরও পড়ুন : সিকিম ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়লে কীভাবে ফিরবেন? দেখুন বিকল্প পথের সন্ধান
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গে এখনই বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই কোনও। আসাম, মেঘালয়, সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতিবৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। যে কারণে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।