মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের কারণে যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল উত্তরবঙ্গে তা দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। ভারতীয় রেলের তরফে দাবি, মালগাড়ির চালকের ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত থেকে উঠে আসছে দুর্ঘটনার আগে মালগাড়ির গতিবেগ ছিল ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। আবার কোথাও কোথাও দাবী করা হচ্ছে গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ছিল। এখন প্রশ্ন ভারতে মালগাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ কত হতে পারে?
মালগাড়ি প্রধানত সাধারণ প্যাসেঞ্জার রেলের মত নয়। এতে করে মালপত্র দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। কম সময়ের মধ্যে মাল পরিবহনের জন্য মালগাড়ির জুড়ি মেলা ভার। স্বাভাবিকভাবেই মালগাড়ির গতিবেগ থাকে বেশি। তবে মালগাড়ির চালককে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট গতিবেগ মেনে চলতে হয়। জানুন রেলের নিয়ম।
ভারতে মালগাড়ি প্রথমবার চলেছিল ১৯৬৬ সালে। মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত চালানো হয়েছিল গাড়িটিকে। বর্তমানে ভারতের দীর্ঘতম মালগাড়ি হল সুপার বাসুকি। এর মধ্যে ৬টি ইঞ্জিন রয়েছে। ২৯৫ টি বগি রয়েছে যার মধ্যে মালপত্র বহন হয়। ট্রেনটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রায়।
আরও পড়ুন : ভারতের একমাত্র ট্রেন যাতে নেই কোনও টিটি, লাগে না কোনও টিকিটও
আরও পড়ুন : রেলের কবচ আসলে কী? দুর্ঘটনা থেকে এটা কীভাবে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচায়?
মালগাড়ি সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে চলে। তবে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে মালগাড়ির গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাও করা যেতে পারে। ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত এই লাইনে গতিবেগ বেশি থাকলেও অসুবিধা হয় না। তবে ভারতীয় রেল দীর্ঘদিন ধরেই মাল গাড়ির গতিবেগ আরও বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।