ফের একবার বদলে গেল কলকাতা মেট্রোর সময়সূচী। এবার বদল এল ব্লু লাইনের শেষ মেট্রোর সময়ে। গত মে মাস থেকে কবি সুভাষ থেকে দমদম মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত রাতে বিশেষ মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। তবে এটা ছিল পরীক্ষামূলক। এতে সোমবার থেকে শুক্রবার রাত ১১ টার সময় শেষ মেট্রো ট্রেন পাওয়া যাচ্ছিল। সম্প্রতি এই শেষ মেট্রোর সময়সূচীতেই এল পরিবর্তন।
১৯শে জুন কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে এবার থেকে আর শেষ মেট্রো ট্রেন রাত ১১ টার সময় পাওয়া যাবে না। তার বদলে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে। আগামী ২৪ শে জুন অর্থাৎ সোমবার থেকে এই নতুন সময়সূচি মেনেই মেট্রো চলাচল করবে। মাত্রাতিরিক্ত খরচ এবং তার তুলনায় কম আয়ের কারণে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে যাত্রীরাও রাত ১১টার সময় শেষ মেট্রো ট্রেন নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না বলেই শোনা যাচ্ছে। তার কারণ নতুন নিয়মের আগে রাতের শেষ মেট্রো ৯ টা ৪৫ মিনিটে ছাড়তো। মেট্রো কর্তৃপক্ষ এরপর রাত ১১টার সময় বিশেষ মেট্রো চালু করে। এদিকে রাত নটা ৪৫ মিনিটের মেট্রো মিস হয়ে গেলে যাত্রীদের ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট বসে থেকে তবে বিশেষ মেট্রো ধরতে হতো। এটা তাদের পক্ষে খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না।
যাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটের চালানোর পর যদি বিশেষ মেট্রো আনতেই হতো তাহলে তার সময় আরও এগিয়ে আনা দরকার ছিল। রাত ১০.০০টা কিংবা ১০.১৫ মিনিটেও ট্রেন চালানো যেত। এতে বরং যাত্রীদের উপকার হত। কিন্তু তার বদলে রাত ১১.০০ টার সময় বিশেষ মেট্রো চলাচলে যাত্রীদের সুবিধার বদলে বিরক্তিই বেড়েছে। এত দেরিতে মেট্রো ছাড়ার কারণে যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ তেমন ছিল না।
মেট্রোর নিয়মিত যাত্রীরাও বলছেন দুটি মেট্রোর মধ্যে ব্যবধান ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে রাখা উচিত। রাতে অতক্ষণ মেট্রো স্টেশনে বসে থাকার বদলে যাত্রীরা অন্য কোনও মাধ্যমে বাড়ি ফেরার চেষ্টাই বরং করবেন। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি রাতে মেট্রোর চাহিদা প্রচুর থাকায় বিশেষ মেট্রো চালু করা হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে তেমন উৎসাহ না থাকায় তা বন্ধ করা হলো।
আরও পড়ুন : বিগত ১০ বছরে ভারতে কত কিলোমিটার রেল লাইন পাতা হয়েছে? রিপোর্ট দেখলে চমকে যাবেন
আরও পড়ুন : লন্ডনকেও টেক্কা দেবে কলকাতা মেট্রো! আসছে এই বিশেষ পরিষেবা
মেট্রোর তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে আপ এবং ডাউন লাইনে রাতের বিশেষ মেট্রো চালানোর জন্য প্রতিদিন ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয় চালানোর জন্য। বাকি ৫০ হাজার টাকা অন্যান্য খরচ। সেই জায়গায় এই ট্রেনে গড়ে প্রতিদিন মাত্র ৩০০ জন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। মোটে ৬ হাজার টাকা আয় হচ্ছে দুটি ট্রেন মিলিয়ে।