উত্তরবঙ্গপ্রেমীদের জন্য এল এক বড় দুঃসংবাদ। রাতের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বন বাংলো। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ঘুরতে এলে বহু পর্যটক এখানেই থাকতে পছন্দ করেন। পর্যটকদের মধ্যে বেশ নামডাক ছিল এই বাংলোর। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেল এই বাংলো। খবর পেয়ে বেশ মুষড়েই পড়েছেন অনেকে।
গতকাল রাত ৯.০০ টা নাগাদ বাংলোতে আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান কর্মীদের। আগুন লেগে যাওয়ার কারণে বাংলোর একটি এসিতে বিস্ফোরণ হয়। বনকর্মীরা প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কাঠের তৈরি বাংলো বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এই বাংলো কাঠের তৈরি হওয়ার ফলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাসিমারা এবং ফালাকাটার দমকলকর্মীরা রাত ১০.১০ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌছান। তাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু ততক্ষণে বাংলোর ৮ টি ঘর পুড়ে গিয়েছিল। সৌভাগ্যের বিষয় জাতীয় উদ্যান এই সময় বন্ধ থাকার কারণে বাংলোতে কোনও পর্যটক ছিলেন না।
হলং বন বাংলো ১৯৬৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। রাজ্য বন দপ্তরের সম্পত্তি এটি। জলদাপাড়ার জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত সুন্দর এই বিলাসবহুল বন বাংলোতে সময় কাটানোর জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটক এবং রাজ্যের ভিভিআইপিরা আসতেন। কয়েক বছর আগে বাংলোর সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু আগুনের গ্রাসে চলে গেল রাজ্যের এই অমূল্য সম্পদ।
আরও পড়ুন : রেলের কবচ আসলে কী? দুর্ঘটনা থেকে এটা কীভাবে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচায়?
আরও পড়ুন : আপনার ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হলে কি করবেন? বিপদে পড়ার আগেই জেনে নিন
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১০ সালের জুন মাসেও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জয়ন্তী বন বাংলোতে এমনই আগুন ধরে। আগুনের গ্রাসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় জয়ন্তী বন বাংলো। যারা বক্সা কিংবা জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের গভীরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে চান তারা সাধারণ হোটেলের বদলে বেছে নেন এই ধরনের বন বাংলো। বর্তমানে এই বাংলোগুলো পর্যটন ব্যবসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।