উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। দুর্ঘটনার পর সত্ত্বর নিহতদের এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল। জানেন কি এই ক্ষতিপূরণের টাকা আসলে আসে কোথা থেকে? না জানলে জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
রেল দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে কিংবা আহত হলে সেই যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা আসলে টিকিট কাটার সময়েই বীমা কভারেজের আওতায় চলে আসে। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বুকিং করার সময় ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং এন্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন অর্থাৎ আইআরসিটিসির তরফ থেকে সেই যাত্রীকে বীমার আওতায় ফেলা হয়। যাতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা কভারেজ পাওয়া যায়।
এই বীমা কভারেজ পাওয়ার জন্য মাত্র ৩৫ পয়সা ট্রেন টিকিটের মূল্যের সঙ্গে যোগ করা থাকে। আগে ট্রেন যাত্রীরা তাদের সুবিধা অনুসারে এই ৩৫ পয়সার বীমা কভারেজ নিতেও পারতেন আবার নাও নিতে পারতেন। কিন্তু উড়িষ্যার বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে যে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে তাতে যাত্রীরা বীমা নেওয়ার অপশন সিলেক্ট না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তার টিকিটের সঙ্গে বীমা কভারের সংযুক্ত হয়ে যায়।
দূরপাল্লার যাত্রার সময় অনলাইন টিকিট বুকিং করার পাশাপাশি নিজের পছন্দ অনুসারে সিট পাওয়া যায় এবং খাবারের অপশন থাকে। সেই সঙ্গে বীমা কভারেজও পাওয়া যায় রেলের তরফ থেকে। মাত্র ৩৫ পয়সার প্রিমিয়ামে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা, রেলের এই পরিষেবা আসলে সব থেকে সস্তা এবং সেরা বীমা কভারেজ বলে বিবেচিত হয়।
আইআরসিটিসি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বুকিং করার সময় পেমেন্ট করার সময় বীমার বিকল্প বেছে নেওয়ার অপশন দেওয়া হয়। যদি কেউ বীমা অপশন নেন তাহলে তিনি ৩৫ পয়সার বীমা কভারেজের আওতায় চলে আসেন। আর যদি কেউ কিছু সিলেক্ট না করেন তাহলেও তাকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বীমার আওতায় আনা হয়।
আরও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা! বদলে গেল একাধিক ট্রেনের রুট, দেখে নিন তালিকা
আরও পড়ুন : রেলের কবচ আসলে কী? দুর্ঘটনা থেকে এটা কীভাবে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচায়?
ট্রেন দুর্ঘটনার ফলে যাত্রীরা যদি আংশিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন তাহলে তাকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বীমা কভারেজ দেওয়া হয়। স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আঘাত কিংবা গুরুতর আঘাতের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন সেক্ষেত্রে তার হাসপাতালের সব খরচ দেবে রেল। এক্ষেত্রে টাকার অংক ২ লক্ষ টাকা হতে পারে। কিংবা তার মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।