বেড়ানোটা যাতে স্বাচ্ছন্দের হয় তার জন্য সঠিক হোটেল নির্বাচন করাটাও জরুরী। দামি-লাক্সারি হোটেল বুক করলেও হোটেলের রুমে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। অজানা জায়গাতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন তাই সতর্ক থাকাই ভালো। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেল রুমে গিয়ে ঠিক কোন কোন কাজগুলো করবেন। কোনগুলো করবেন না।
হোটেল রুমে ঢুকে কী কী করবেন?
হোটেলের দরজা চেক করুন
হোটেলের ঘরে ঢোকার পর দরজার লক ঠিক আছে কিনা দেখুন। তালা মারা থাকলেও জোরে টান মারলে দরজা খুলে যাচ্ছে কিনা দেখুন। হোটেলের ঘরের লক ঠিক না থাকলে আপনার জিনিস চুরি যাওয়ার ভয় থাকে। জানলার লক ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
বাথরুম ব্যবহারের আগে কী করবেন?
হোটেলের রুমে আসার পর প্রথমে যেটা ব্যবহার করতে হয় সেটা হল বাথরুম। কমোড ব্যবহারের আগে ফ্ল্যাশ করে নিন। এতে জীবাণু, পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে। মাকড়সা, আরশোলার মত কীটপতঙ্গ এড়াতে হোটেলের কমোড ব্যবহারের আগে ফ্লাশ করে নিতেই হবে।
হোটেলের বিছানা ব্যবহারের আগে কী করবেন?
হোটেলের বিছানা ভালোভাবে চেক করে নিন। সেখানে কোনও কীটপতঙ্গ বা ছারপোকা থাকতে পারে। তাই চাদর তুলে ভালোভাবে গদি ঝেড়ে নিন।
ইমারজেন্সি পথের খোঁজ নিন
হোটেলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কোন পথ দিয়ে বেরোতে হবে সেটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখে নিন। তাড়াহুড়োর সময় কোন পথ দিয়ে গেলে দ্রুত বেরোনো যাবে আগে জেনে নেওয়াই ভালো।
গোপন ক্যামেরা আছে কিনা দেখুন
হোটেলে ওঠার পর শাওয়ার, আলমারি, আয়না, ফুলদানি ইত্যাদি জায়গাতে গোপন ক্যামেরা আটকানো আছে কিনা ভালো করে খুঁটিয়ে দেখে নিন।
আরও পড়ুন : গঙ্গার নিচে মেট্রো আটকে গেলে কী হবে? কীভাবে বেরোবেন যাত্রীরা?
হোটেলে কী কী করবেন না?
- হোটেলের ঘরে যে জলের গ্লাস রয়েছে সেটা না ধুয়ে জল খাবেন না। বোতলের মধ্যে যে জল আছে সেটাও টাটকা কিনা জেনে নিন।
- দরজার পাল্লা এবং ফ্রেমের মধ্যে একটা তোয়ালে রাখুন। এতে দরজা এঁটে বন্ধ হবে। বাইরে থেকে কেউ ধাক্কা মেরে ঘরে ঢুকতে পারবে না। জোর করে ঘরে ঢুকতে গেলে আগেই ঘুম ভেঙে যাবে আপনার।
- আপনি কিছু অর্ডার করেননি, অথচ রুম সার্ভিস বলে কেউ দরজা খোলার অনুরোধ জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগে দরজা না খুলে দিয়ে রিসেপশনে ফোন করে জেনে নিন ব্যাপারটা কী।
- হোটেলে ঘর, বাথরুম, বিছানা ইত্যাদি নোংরা করবেন না।