বাঙালির কাছে সমুদ্র মানেই দীঘা কিংবা পুরী। তবে এই দুই জায়গা ছাড়াও কিন্তু আরও একাধিক সমুদ্র সৈকত রয়েছে আপনার আশেপাশে যেগুলোর খোঁজ হয়তো আপনি রাখেন না। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল উড়িষ্যার এমনই চারটি অজানা সমুদ্র সৈকতের নাম। এবার উড়িষ্যার পুরীর সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর প্ল্যান বানানোর আগে বরং একবার জেনে নিন এই সমুদ্র সৈকতগুলোর সম্পর্কে।
বাগদা সমুদ্র সৈকত
উড়িষ্যার বালাসোরের খুব কাছেই রয়েছে এই সমুদ্র সৈকত। পুরীর মত ধীরে ঠাসাঠাসি অবস্থায় এখানে নেই। নির্জন সমুদ্র সৈকতে সময় কাটানোর ইচ্ছে থাকলে এখানে চলে আসতেই পারেন। এখানে থাকার জন্য ছোট ছোট টেন্ট পাবেন। সমুদ্রের ধারে ঝাউ গাছের জঙ্গল রয়েছে। এখানে বন ফায়ার, বারবিকিউয়ের ব্যবস্থা পাবেন। সকাল এবং সন্ধ্যায় সমুদ্রে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখবেন। এই সমুদ্র সৈকতে লাল কাঁকড়াও দেখা যায়।
আস্তারাঙ্গা সমুদ্র সৈকত
ওড়িশার আস্তারাঙ্গা সমুদ্র সৈকতও একটি অফবিট জায়গা। আস্তারাঙ্গা শব্দের অর্থ রঙিন সূর্যাস্ত। এখানে বিরল প্রজাতির অলিভ রিডলি কচ্ছপ দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই এখানে যেতে পারেন। পুরীর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত।
রামচন্ডী সমুদ্র সৈকত
ওড়িশার কুশভদ্রা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমস্থলে রামচন্ডী সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এখানে সোনালী বালি এবং নীল জলের সমুদ্র তট রয়েছে। সমুদ্রের ধারে বালির মধ্যে কচ্ছপ ঘুরে বেড়ায়। পুরী স্টেশনে নেমে রামচন্ডী সমুদ্র সৈকতে যেতে পারবেন। বিমান পথে যেতে হলে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নামতে হবে।
আরও পড়ুন : বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান? উইক এন্ডে ঘুরে আসুন এই ৪ জায়গা থেকে
আরও পড়ুন : অনেক হল দীঘা-পুরী! নিরিবিলিতে সময় কাটাতে ঘুরে আসুন এই ৫ সমুদ্র সৈকত
বালিঘাই সমুদ্র সৈকত
পুরী থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বালিঘাই সমুদ্র সৈকত। এখানেও খুব বেশি মানুষের ভিড় থাকে না। শান্ত ও নির্জন এই সমুদ্র তটের পরিবেশ খুবই রোমান্টিক। সমুদ্র সৈকতের বালি থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করতে পারবেন।