প্রচন্ড গরমে ক্লান্তি যেন আরও বেশি চেপে বসছে শরীরে। তবে খাতায়-কলমে বর্ষা আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। তপ্ত প্রকৃতি শীতল করে যখন বর্ষা নামবে তখন ঘন সবুজে ভরে যাবে চারপাশ। এই সময় ঘরে বসে না থেকে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন পুরুলিয়ার দুয়ারসিনির উদ্দেশ্যে।
কোথায় যাবেন?
পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দুয়ারসিনি নামের এই অফবিট জায়গা। এই জায়গার এমন নামের অর্থ দ্বাররক্ষক ঠাকুর। বর্ষায় উইকেন্ডের ছুটি কাটাতে এক-দুদিন ঘুরে আসতেই পারেন এখান থেকে। পুরুলিয়ার কংসাবতী নদীর ধারে ঘন সবুজ বন জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গার পরিবেশ বর্ষার সময় আরও মনোরম হয়ে ওঠে। নিরিবিলিতে এখানে দুদিন সময় কাটাতে ভালোই লাগবে।
কী কী দেখবেন?
কংসাবতী নদীর দক্ষিণে কুচিয়া বিটের অন্তর্গত হল দুয়ারসিনি। ছোট ছোট পাহাড় এবং সবুজ গাছপালায় ঘেরা এই জায়গার ঠিক পাশেই রয়েছে আদিবাসীদের গ্রাম। মূলত জুলাই আগস্ট মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়টা এখানে ঘোরার জন্য খুবই ভালো। দুয়ারসিনির সঙ্গে কিছু পৌরাণিক গল্প জড়িয়ে রয়েছে। এখানে লঙ্কার রাজা রাবণ স্বর্গের সিঁড়ি প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। এখানকার মানুষদের উপর গৌতম বুদ্ধের কিছুটা প্রভাব পড়েছিল।
এখানে সাঁওতাল, মুন্ডা, শবর, খেরিয়ার উপজাতিদের গ্রাম রয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে নেকড়ে, হাতি, ভাল্লুক, বুনো শুয়োরের দেখা মিলবে। এছাড়া এখানে সাতগুরুং নামের একটি হ্রদ রয়েছে।
কোথায় থাকবেন?
দুয়ারসিনিকে ইকো ট্যুরিজমের অন্তর্ভুক্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখানে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তরফ থেকে বেশ কিছু কটেজ বানানো হয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের সাইটে গিয়ে হেল্পলাইনে ফোন করে কটেজ বুক করতে হয়।
আরও পড়ুন : দার্জিলিং গেলে অবশ্যই দেখবেন এই ৮ জায়গা, রইল তালিকা
আরও পড়ুন : পাহাড়, নদী থেকে সমুদ্র! বর্ষা উপভোগ করার সেরা ৫ ঠিকানা
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে পুরুলিয়া পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে বাসে করে দুয়ারসিনি যাওয়া যায়। আবার কলকাতা থেকে বেশ কিছু গাড়িও ছাড়ে বান্দোয়ানের উদ্দেশ্যে। সেখানে নেমে গাড়ি অথবা বাসে করেও যেতে পারেন। আবার কলকাতা থেকে গাড়ি করে যেতে হলে খড়গপুর, পুরুলিয়া, বান্দোয়ান হয়ে দুয়ারসিনিতে যেতে হবে।