বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যাই ভারতে বেশি। কিছু অবশ্য বৈদ্যুতিন চালিত গাড়ি রয়েছে। ধীরে ধীরে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। দিনে দিনে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যেমন চড়া হচ্ছে তাতে বেশিরভাগই নতুন গাড়ির কেনার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন গাড়িকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রকও পেট্রোল-ডিজেলের বদলে বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে এখন।
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যেমন চড়া তেমনই এর থেকে পরিবেশ দূষণ অনেক বেশি হয়। পরিবেশ রক্ষার জন্য এবং যাত্রীদের সুবিধার জন্যেও ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন ভারত সরকার দেশে ক্লিনার এবং আরও সাসটেনেবল ট্রান্সপোর্টেশন সলিউশনের ব্যবস্থা করছে।
সম্প্রতি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় স্মারক এবং পরিবহন মন্ত্রী বলেন আগামী ১০ বছরের মধ্যে পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত যানবাহনগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করতে চান তিনি। সেই জায়গায় বৈদ্যুতিক যানবাহন যাতে চালানো যায় সেই ব্যবস্থার পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। এটা অনেক বেশি সাশ্রয়ী হবে ডিজেল এবং পেট্রোলের থেকে।
কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন আজকের যুগে যেখানে ডিজেলের পেছনে ১০০ টাকা খরচ হয় সেখানে বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ৪ টাকা। কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ICE যানবাহন বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। যদিও তার কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে হাইব্রিড যানবাহনের উপর থেকে জিএসটি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নীতিন গড়করি।
আরও পড়ুন : লাগবে না পাসপোর্ট, ভিসা! ভারতীয়দের ফ্রি এন্ট্রি দিচ্ছে এই দেশ
আরও পড়ুন : পাসপোর্ট বানানো এখন জলের মত সোজা! আবেদন করুন এইভাবে
ধাপে ধাপে আগামী দিনে দেশ থেকে প্রায় ৩৬ কোটি পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ি সরিয়ে ফেলা হবে। এই কাজ কঠিন হতে পারে, তবে অসম্ভব নয় বলেই বিশ্বাসী নীতিন গড়করি। তাছাড়া ভারতের বাজারে যেভাবে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে তাতে আগামী দিনে কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার দিন আর খুব বেশি দূর নয়।