Weekend Destinations Near Kolkata : চরম গরমে রীতিমত ওষ্ঠাগত হচ্ছে প্রাণ। এই সময় কাজকর্ম সব শিকেয় তুলে রেখে নিরিবিলিতে কোনও মনোরম জায়গা থেকে ঘুরে আসতে মন চায় সকলেরই। পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে তো আর বেড়ানোর জায়গার অভাব নেই। দক্ষিণবঙ্গের হাতের নাগালেই রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল আরও কত কী! আজকের এই প্রতিবেদন থেকে বেছে নিন আপনার বেড়ানোর পরবর্তী ডেস্টিনেশন। রইল দক্ষিণবঙ্গের আশেপাশের সেরা ৫টি বেড়ানোর জায়গার হদিশ।
চাঁদিপুর, ওড়িশা
পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য উড়িষ্যাতে রয়েছে চাঁদিপুর সৈকত। ভাঁটার সময় এর জল ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সরে যায়। জোয়ারের সময় আবার ফিরে আসে। তাই চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতকে অদৃশ্য সমুদ্র সৈকতও বলা হয়।
কী কী দেখবেন?
- চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত,
- পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির,
- নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির,
- সাজনগড়,
- রেমুনা,
- ভিতরকণিকা,
- দেবকুন্ড জলপ্রপাত,
- ইমামি জগন্নাথ মন্দির,
- খিরাচরা গোপীনাথ মন্দির,
- বুড়িবালাম নদীর মোহনা,
- কুলডিহা জঙ্গল,
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া স্টেশন থেকে ধৌলি এক্সপ্রেস ধরে বালাসোর রেল স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ১৭ কিলোমিটারের পথ ট্যাক্সিতে করে যাওয়া যায়। চাঁদিপুরের নিকটবর্তী বিমানবন্দর দুটি হল কলকাতা এবং ভুবনেশ্বর।
শংকরপুর
দীঘা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শংকরপুর সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের খুবই পছন্দের। এর কাছেই রয়েছে মৎস্য বন্দর। পিকনিকের জন্য আদর্শ এই জায়গা।
কী কী দেখবেন?
- শংকরপুর সমুদ্র সৈকত,
- মৎস্য বন্দর,
কীভাবে পৌঁছবেন?
দীঘা এক্সপ্রেস বা হাওড়া দীঘা দুরন্ত এক্সপ্রেস ধরে শংকরপুর পৌঁছানো যায়। এছাড়া নিজস্ব গাড়িতে রোড ট্রিপের মাধ্যমেও যাওয়া যায়। শংকরপুরের নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল কলকাতা।
মায়াপুর
গঙ্গা এবং জলঙ্গী নদীর তীরে অবস্থিত মায়াপুর বৈষ্ণব এবং হিন্দুদের একটি অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। এখানে অনেক পর্যটন স্থল রয়েছে।
কী কী দেখবেন?
- ইসকনের মন্দির,
- শ্রীচৈতন্য মঠ,
- চাঁদ কাজীর সমাধি,
- শ্রী দেবানন্দ গৌড়ীয় মঠ,
- যোগ পীঠ,
- চন্দ্রোদয় মন্দির,
- শ্রীলা প্রভুপদের সমাধি মন্দির,
কীভাবে যাবেন?
মায়াপুরে কোনও রেলস্টেশন নেই। হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে নবদ্বীপ ধাম পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। তারপর নবদ্বীপ ধাম থেকে ট্যাক্সি করে পৌঁছে যাওয়া যাবে মায়াপুর।
বাংরিপোসি, ওড়িশা
পাহাড় এবং জঙ্গলের জন্য খুবই বিখ্যাত এই জায়গাটি। পূর্বঘাট পর্বতমালার একটি অংশ রয়েছে এখানে। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের খুবই পছন্দের এই জায়গাটি।
কী কী দেখবেন?
- ঘন সবুজ বন জঙ্গল,
- এখানকার আদিবাসী এবং তাদের জীবনশৈলী,
- পাহাড় জঙ্গল ছাড়াও রয়েছে ঝর্না,
- নদী ও ট্রেকিংয়ের সুবিধা,
- সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান,
- জোরান্দা এবং বরেহিপানি ঝরনা,
- ঠাকুরানি পাহাড়,
- বাঁকাবল হ্রদ,
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ধৌলি এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে বালেশ্বরে। তারপর সেখান থেকে লোকাল ট্রেন ধরে বা ট্যাক্সি করে পৌঁছে যাওয়া যাবে। আবার NH6 ধরে সরাসরি ট্যাক্সি করেও পৌঁছে যাওয়া যাবে।
সুন্দরবন
জঙ্গল যাদের পছন্দ তারা এই গরমের মরসুমে সুন্দরবন যেতেই পারেন। কপালে থাকলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখাও মিলবে।
কী কী দেখবেন?
- ম্যানগ্রোভ অরণ্য,
- রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, হরিণ, নানা প্রজাতির পাখি,
- সজনেখালি পাখির অভয়ারণ্য,
- সুধন্যখালী ওয়াচ টাওয়ার,
- টিনকোনা দ্বীপ,
- হিরণ পয়েন্ট,
কীভাবে পৌঁছবেন?
শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ক্যানিং স্টেশনে পৌঁছতে দেড় ঘন্টা সময় লাগবে। ক্যানিং স্টেশন থেকে বাসে বা গাড়িতে করে গোদখালী ফেরিঘাটে পৌঁছাতে হয়। এখান থেকে মোটর বোটের মাধ্যমে সজনেখালি যেতে হয়।