এই বছর পুজোর আগেই কার্যত বদলে যাবে কলকাতার একাংশের চেহারা। আর রাস্তার ধারের প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া ফুড স্টলের দেখা মিলবে কিনা সন্দেহ। কারণ কলকাতা পুরসভা এবার অস্থায়ী ফুড স্টলগুলোকে সরিয়ে ফুড জোন তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে। আপাতত কলকাতা ৩ এলাকার হকারদের নিয়ে শুরু হবে এই কাজ। ধাপে ধাপে এগোবে কাজ।
ফুড জোনগুলো কোথায় খুলবে?
কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আপাতত রাসেল স্ট্রিট, পাটুলি এবং টালা পার্ককে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই তিন জায়গাতে ফুড জোন তৈরি হবে। শহরের নামিদামি রেস্তোরার খাবার পাওয়া যাবে এখানে। তাও আবার খুবই কম দামে। এই স্টলগুলো প্লাস্টিক মুক্ত থাকবে। পরিবেশবান্ধবভাবে ফুড জোনগুলোকে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ফুড জোনের অন্দরে কী কী ব্যবস্থা থাকবে?
এই বিশেষ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে কলকাতা ফুড ওয়াক। এখানে সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত নামমাত্র খরচে বিভিন্ন খাবার-দাবার পাওয়া যাবে। পুজোর আগেই এই তিনটি ফুড জোন খোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে কলকাতা পুরসভা। এরপর আগামী দুই বছরের মধ্যে এরকম আরও ১৫ টি ফুড জোন সমগ্র কলকাতা জুড়ে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
প্রত্যেকটি ফুড জোনে ১৬টি করে দোকান থাকবে। অর্থাৎ আপাতত ৪৮ টি দোকান নিয়ে ৩ টি ফুড জোন খোলা হচ্ছে। এরমধ্যে টালা পার্ক এবং পাটুলির ফুড জোন তৈরীর কাজ শেষ হয়ে এসেছে প্রায়। টালা পার্কে ফুটপাতে নতুন পেভার ব্লক বসানো হয়েছে। বসার জন্য বেঞ্চ পাতা হয়েছে। স্টলের মধ্যে বেসিন এবং বায়ো টয়লেট থাকবে। নানা রঙের আলো দিয়ে সাজানো হবে সম্পূর্ণ জায়গাটিকে।
কী কী খাবার পাওয়া যাবে?
এখানে বিরিয়ানি, চাউমিন, রোল, ফ্রায়েড রাইস, মোমো, ধোসা, ইডলি, চা-কফি, মশলা মুড়ি ইত্যাদি অনেক রকমের খাবার পাওয়া যাবে। খাবারের মান যাতে উন্নত হয় তার জন্য প্রতি মাসে সারপ্রাইজ ভিজিটে থাকবেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করেন কেউ তাহলে সেই দোকানির লাইসেন্স বাতিল হবে। প্রত্যেক দোকানিকে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
এই ব্যবস্থার ফলে এবার এক জায়গাতেই হরেক রকমের খাবার পাবেন গ্রাহকেরা। অন্যদিকে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হবে এর থেকে। নতুন এই ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই কলকাতার নাগরিকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে বলে আশাবাদী কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ।