বর্ষার এই মরসুমে দার্জিলিঙে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? এর আগেও কি বেশ কয়েকবার ঘুরে নিয়েছেন দার্জিলিং? তাহলে আর কেন শুধু শুধু টাইগার হিল বা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাবেন? নতুনত্বের খোঁজে চলুন দার্জিলিংয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অপরূপ সুন্দর এক গ্রামে। যে গ্রামকে অনেকে ঝর্ণা গ্রাম বলেও চেনেন। জানুন এই অফবিট লোকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত।
কোথায় যাবেন?
যদি দার্জিলিংয়ের ভিড়বহুল জায়গা থেকে দূরে কোনও শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে দুটো দিন কাটাতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় চলে যান সাকিয়াং গ্রামে। খুব বেশি মানুষের বাস নেই এখানে। ১৫-২০ ঘরের জনবসতি রয়েছে কেবল। দার্জিলিংয়ের খুব কাছে এই পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য এক কথায় অবর্ণনীয়। চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
কী কী দেখবেন?
এই গ্রামের সব থেকে বড় আকর্ষণ হল এখানকার ঝর্ণা। যেদিকে তাকাবেন শুধু ঝর্ণাই চোখে পড়বে। পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে একের পর এক ঝর্ণা। বর্ষার সময় সেগুলোর রূপ আরও উপচে পড়ে। ছোট্ট এই গ্রামে রয়েছে ৫০ টিরও ঝর্ণা। দেখে যেন মনে হয় ঝর্ণা দিয়েই ঘেরা রয়েছে এই গ্রাম। এখানে গেলে আপনি পাহাড়ি কাঁকড়ার দেখা পাবেন।
সাকিয়াং গ্রামের উপর দিয়ে আবার বয়ে গিয়েছে ছোট্ট একটি নদী। নদী, পাহাড়, ঝর্ণা এসব মিলিয়ে প্রকৃতি যেন এক অপরূপ স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে এখানে। এখানকার নদীর পাড়ে কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে। থাকার জন্য সেই জায়গাগুলো বেছে নিলে মন্দ হবে না।
আরও পড়ুন : এই দিনের আগে ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে! এরপরই বন্ধ হয়ে যাবে ডুয়ার্সের দরজা
আরও পড়ুন : অনেক হল দার্জিলিং-গ্যাংটক, এবার ঘুরে আসুন হিমালয়ান রেঞ্জের এই ছোট্ট গ্রাম থেকে
কীভাবে যাবেন?
দার্জিলিং থেকে পেডাং যাওয়ার পথে ৩ কিলোমিটারের মধ্যেই পড়বে এই গ্রামটি। দার্জিলিং থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে লাগে ৫০০ টাকা। তবে যদি পর্যটকদের ভিড় বেশি হয় তখন ভাড়া বেড়ে যেতেও পারে। মনে রাখবেন সিকিমেরও কিন্তু সাকিয়াং নামের একটি গ্রাম রয়েছে। যাওয়ার আগে দুটোকে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন।