দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে হাতে অন্তত তিন-চার দিনের বেশি সময় না থাকলে ঘোরার আনন্দটাই হয় মাটি। তাই যদি সপ্তাহান্তের এক-দু দিনের ছুটি কাজে লাগাতে চান তাহলে কাছে-পিঠের টুরিস্ট স্পটগুলোতে ঢুঁ মারতেই পারেন। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল এমন ৫ জায়গার সন্ধান যেখানে খুব কম সময়ের মধ্যে ঘুরে আসতে পারবেন। ট্রেন কিংবা বাসেরও প্রয়োজন পড়বে না। যেতে পারবেন নিজস্ব দু চাকা কিংবা চার চাকা গাড়িতে। দেখে নিন এক নজরে।
চন্দননগর
অনেকে এই জায়গাকে ফরাসডাঙ্গা নামেও চেনেন। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো খুব বিখ্যাত। চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড থেকে গঙ্গার উপর সূর্যাস্ত দেখতে দারুণ লাগে। এখানে রয়েছে পুরনো মিউজিয়াম, সেক্রেড হার্ট চার্চ, পাতালবাড়ি, নন্দদুলাল মন্দির। চন্দননগরের মিষ্টি খেতে যেন ভুলবেন না।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে চন্দননগরের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। দিল্লি রোড ধরে গাড়ি নিয়ে গেলে দেড় ঘন্টার মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। প্রধানত সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এখানে আরামসে ঘোরা যায়। গরমের সময়টা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
কৈখালী
উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কৈখালী থেকেও ঘুরে আসতে পারেন সপ্তাহ শেষের ছুটি কাটাতে। এখানে দেখার মধ্যে রয়েছে নিমপীঠ, মাতলা নদী। পূর্ণিমার রাতে মাতলা নদী আরও মায়াবী হয়ে ওঠে। এখানে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল দেখতে পাবেন। এখান থেকে ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র ঘুরে আসতে পারবেন।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পড়বে কৈখালী। গাড়ি বা বাইকে করে যাওয়া যাবে। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস সময়টা হলেও কৈখালী ঘোরার জন্য সেরা সময়। এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব আবাস রয়েছে যেখানে থাকতে পারবেন কম খরচে।
বিষ্ণুপুর
বিষ্ণুপুরে রয়েছে অসংখ্য পুরনো মন্দির যার গায়ে টেরাকোটার কাজ রয়েছে। এই মন্দিরগুলো মল্ল রাজাদের ইতিহাস বহন করছে। এখান থেকে শুশুনিয়া পাহাড় এবং ঝিলিমিলি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। আরামবাগ থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার পথে জয়পুরের জঙ্গল পড়বে।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে বিষ্ণুপুরের দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। আগষ্ট থেকে মার্চ মাস সময়ের মধ্যে ঘুরে আসতে পারলে সব থেকে ভালো লাগবে।
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী, মিউজিয়াম, কলা ভবন, ছাতিমতলা, সোনাঝুরি হাট ইত্যাদি তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে সতীপীঠ কঙ্কালীতলাও দেখতে পারেন। এখানে আরও বেশ কিছু মন্দির রয়েছে দেখার মত।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনের দূরত্ব ১৬৩ কিলোমিটার। গাড়িতে যেতে সময় লাগবে সাড়ে চার ঘন্টা। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ঘুরে আসতে পারলে সব থেকে ভালো।
জামশেদপুর
সুবর্ণরেখা এবং খড়কাই নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত জামসেদপুর সুন্দর সাজানো একটি শহর। এখানে রয়েছে মন্দির, জলাধার, পার্ক, জঙ্গল। চান্ডিল, পালনা, ছোটবাকির মত জলাধারগুলো ঘুরে দেখার মত। এখানে জুবিলী পার্ক, দলমা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি দেখতে পারবেন। আবার কাছে পিঠে ঘাটশিলা থেকেও বেরিয়ে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন : হোটেলে নয়, বেড়াতে গিয়ে এই জায়গায় থাকলে বেঁচে যাবে হাজার হাজার টাকা
আরও পড়ুন : কলকাতার আশেপাশে উইকেন্ডে সময় কাটানোর জন্য সেরা ৪টি ঠিকানা
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গা। যেতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়টা এখানে ঘোরার জন্য উপযুক্ত।