ট্রেনে চড়তে হলে টিকিট কাটা বাধ্যতামূলক। টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠা কার্যত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠলে শাস্তি থেকে জরিমানা দুটোই হবে। সঙ্গে টিকিট থাকলে সসম্মানে যাত্রা করতে পারবেন। তবে দূরপাল্লার ট্রেনে আপনি যদি টিকিট কাটেন তাহলে সিট ছাড়াও আর কী কী সুবিধা পাবেন জানেন? অনেকেই এই সুবিধাগুলোর কথা জানেন না।
ট্রেনের টিকিটে সিট ছাড়াও আর কী কী সুবিধা মিলবে?
দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট কাটলে শুধু সিট নয়, সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। যতক্ষণ আপনি ট্রেন সফর করবেন ততক্ষণ খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা, শোওয়ার জন্য বালিশ বিছানা পাওয়ার দাবীদার। বালিশ, কম্বল, বিছানার চাদর, তোয়ালে সবই দেওয়া হয় রেলের তরফ থেকে। তাও আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
শুধু বালিশ-বিছানা নয়, ট্রেন সফর কালে হঠাৎ আহত কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়লে আপনি বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবাও পাবেন। আসলে টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই চিকিৎসার খরচ ধরা থাকে। তাই ট্রেনে সফরকালে কেউ কোনও কারণে আহত হলে বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ভার থাকে রেলের উপর।
এছাড়াও আপনি রেলের তরফ থেকে ই-ক্যাটারিং পরিষেবা পেতে পারেন। যদি কোনও ট্রেন নির্দিষ্ট সময় না ছেড়ে দুই ঘন্টা দেরিতে ছাড়ে তাহলে রেলওয়ে ই-ক্যাটারিং থেকে খাবার অর্ডার করা যেতে পারে। সব থেকে বড় ব্যাপার এর জন্য আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হয় না।
চিকিৎসা, খাওয়া-দাওয়া শুধু নয়, ট্রেন যদি অনেকক্ষণ লেট চলে তাহলে আপনি বিশ্রাম করার জন্য আলাদা করে উচ্চমানের ওয়েটিং রুম পাবেন। এসি এবং নন এসি দুই রকম ওয়েটিং রুম পাওয়া যায়। তবে এর জন্য নামমাত্র চার্জ বা ফি দিতে হয়।
আরও পড়ুন : বাপ বাপ বলে কনফার্ম হবে সিট, টিকিট বুকিং করার সময় করুন এই একটি কাজ
আরও পড়ুন : ৩ গুণ সস্তা হবে টিকিট! ১লা জুলাই থেকে ভাড়া কমবে ৫৬৩ লোকাল ট্রেনের
কোন কোন ট্রেন এই পরিষেবা দেয়?
সব দূরপাল্লার ট্রেনে কিন্তু এই সকল পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। কেবল প্রিমিয়াম ট্রেনগুলোতেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। যেমন গরিব রথ এক্সপ্রেসে খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসার সুবিধা নিতে গেলে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়। বেশ কিছু ট্রেনে তো আবার বেড রোল দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ ওঠে। সেক্ষেত্রে রেল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাতে হবে।