ভারতের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের জায়গা হল চেরাপুঞ্জি। বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই এখানকার আবহাওয়া থাকে অন্যরকম। ঝর্ণা, পাহাড়, গুহা, প্রাকৃতিক সেতু, মেঘ-বৃষ্টির খেলা ইত্যাদি নিয়েই চেরাপুঞ্জি। যার আরেক নাম হল সোহরা। আপনি যদি এই বর্ষাতে কোথাও ঘোরার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে টুরিস্ট স্পটের তালিকায় রাখতেই পারেন চেরাপুঞ্জিকে। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল এই জায়গা সম্পর্কে বিশেষ তথ্য।
চেরাপুঞ্জিতে কী কী দেখবেন?
এখানে অনেক ঝর্ণা, সবুজে ঘেরা পাহাড় রয়েছে। এখানে দেখার মত অনেক কিছুই আছে। ডবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ এর মধ্যে অন্যতম। বড় বড় গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি দোতলা প্রাকৃতিক সেতু থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এই সেতুর উপরে একসঙ্গে ৫০ জন মানুষ দাঁড়াতে পারবেন।
যদি ঝর্ণা দেখতে ইচ্ছে করে তাহলে চলে যান নোগোরিয়াত গ্রামে। এখানে রয়েছে রেনবো ফলস। খাড়াই পথে অনেকটা উঠে এই ঝর্ণা দেখতে হয়। সূর্যের আলো যখন ঝর্ণার জলের উপর পড়ে তখন সাত রং বিচ্ছুরিত হয়ে রামধনুর মত দেখায়। এছাড়া এখানে নহকালিকাই ঝর্ণাও বেশ জনপ্রিয়। পাথরের খাঁজে গাঢ় নীল রংয়ের ছোট্ট জলাশয় তৈরি হয়েছে।
পাহাড় এবং ঝর্ণা শুধু নয়, এখানে রয়েছে সুন্দর পাহাড়ি উপত্যকা। নহকালিকাই জলপ্রপাত থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরত্বেই এর অবস্থান। প্রথম দিনেই এতগুলো জায়গা একসাথে ঘুরে ফেলতে পারবেন। পরের দিন চুনাপাথরের তৈরি মোসমাই গুহা চলে যান। এখান থেকে নংথাইমাই ইকোপার্ক কাছে পড়বে।
এখানে বহু পুরনো আরওয়া কেভ নামের আরেকটি গুহা রয়েছে। এখানে বিভিন্ন মাছের হাড় এবং অন্যান্য প্রাণীর জীবাশ্ম দেখতে পাবেন। এখানে সেভেন সিস্টার্স জলপ্রপাত খুবই বিখ্যাত। বর্ষার সময় গেলে জলপ্রপাত থেকে জলের ছিটে এসে গায়ে লাগবে। সবশেষে থাংকারাং পার্ক ঘুরতে ভুলবেন না।
কোথায় থাকবেন?
চেরাপুঞ্জিতে থাকার জন্য অসংখ্য ছোট এবং বড় হোটেল পেয়ে যাবেন। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুবই বিখ্যাত এই জায়গা। তাই এখানে পর্যটকদের জন্য হরেক রকম বাজেটের হোটেল এবং খাওয়ার জন্য রেস্তোরাঁ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : জলপ্রপাতের স্বর্গরাজ্য! কীভাবে যাবেন কেওনঝড়? কী কী দেখবেন?
আরও পড়ুন : বর্ষা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন কালেজ ভ্যালি থেকে! কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
কীভাবে যাবেন?
মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি যদি কলকাতা থেকে যেতে চান তাহলে বিমান পথে গেলে কলকাতা থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামতে হবে। রেল পথে গেলে গুয়াহাটি রেল স্টেশনে নামতে হবে। চেরাপুঞ্জি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই রেল স্টেশন। তারপর সেখান থেকে বাসে কিংবা গাড়িতে করে চেরাপুঞ্জি পৌঁছাতে হয়।