বর্ষার সময় একদল মানুষের ঘরে একান্তে বসে জানালার বাইরে বৃষ্টি দেখতে পছন্দ করেন। আবার একদলের পছন্দ সরাসরি বাইরে বেরিয়ে সেই বৃষ্টি উপভোগ করা। আপনি যদি দ্বিতীয় দলে পড়েন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনে বর্ষার সময়ে ঘোরার জন্য সেরা একটি ঠিকানার খোঁজ রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। জায়গাটি হল উড়িষ্যার কেওনঝড়। এখানে কী কী দেখবেন? কোথায় থাকবেন? জেনে নিন সবকিছু।
উড়িষ্যার কেওনঝড়ে কী কী দেখবেন?
কেওনঝড়
সবুজ পাহাড়, ছোট-বড় অসংখ্য জলপ্রপাত এবং চড়াই-উৎরাইয়ের রাস্তার দৃশ্যপট কার্যত বর্ষার সময়ে আরও বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে। উড়িষ্যার এই জেলা অনেক পর্যটক ও প্রকৃতি প্রেমীর পছন্দের জায়গা।
খন্ডধর জলপ্রপাত
খন্ডধর জলপ্রপাতের চারপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়। তার মাঝখান দিয়ে উঠে গিয়েছে লম্বা সিঁড়ি। এই জলপ্রপাত আসলে বর্ষার জলেপুষ্ট। তাই বর্ষার সময় এখানে এলে সব থেকে ভালো হবে।
হান্ডিভাঙ্গা জলপ্রপাত
খন্ডধর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জলপ্রপাত দেখার জন্য জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে অনেকটা পথ যেতে হয়। হান্ডিভান্ডা জলপ্রপাত খুব একটা বড় নয় তবে শান্ত, নিরিবিলি জঙ্গলের পথে এমন একখানা জলপ্রপাত আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
বড়াঘাগরা এবং সানঘাঘরা
জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে বড়াঘাগরা জলপ্রপাত। বর্ষার সময় এখানে যেতে হলে ছোট একটি নদীর পায়ে হেঁটে পার হতে হয়। বড়াঘাগরার ঠিক পাশে রয়েছে সানঘাঘরা। কেওঝড় থেকে এই জলপ্রপাত মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
গুন্ডিচাঘাঘি জলপ্রপাত
একে বলা হয় উড়িষ্যার নায়াগ্রা। ঘাটাগাঁও তারিণী মন্দির থেকে ২০ মিনিটের দূরত্বে মুসলা নদীর উপরে অবস্থিত গুন্ডিচাঘাঘি। কেওনঝড় থেকে এর দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার।
ভীমকুণ্ড
বর্ষার সময় ফুলেফেঁপে ওঠে ভীম কুণ্ড জলপ্রপাত। কেওনঝড় থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গা। বলা হয় নাকি পাণ্ডবরা এই স্থানে ছিলেন। এখানে ভীমের একটি মূর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন : এই দিনের আগে ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে! এরপরই বন্ধ হয়ে যাবে ডুয়ার্সের দরজা
কখন যাবেন?
কেওনঝড় যেতে হলে জুলাই-আগস্ট মাসের দিকে যান। আসলে বর্ষা শুরু হওয়ার পর এখানে গেলে সবথেকে ভালো ভিউ পাবেন। বর্ষার জলে পুষ্ট হয়ে জলপ্রপাতগুলোর সৌন্দর্য আরও উপচে পড়ে।
কোথায় থাকবেন?
এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে। আবার ওড়িশা সরকারের পান্থনিবাস রয়েছে যেখানে কম মূল্যে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : বর্ষায় বেড়ানোর জন্য সেরা ৩ জায়গা! কীভাবে যাবেন, কী কী দেখবেন
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে গেলে বারবিল স্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। আবার খুরদা রোড স্টেশনে নেমে কেওনঝড় যাওয়ার জন্য ট্রেন পাওয়া যায়। কেউ মনে করলে সড়কপথে গাড়ি ধরে কলকাতা থেকে কেওনঝড় যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৩৪৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা।