গরমের সময় দার্জিলিং-গ্যাংটক তো সকলেই যান। বাংলার মানুষের পছন্দের পাহাড়ি ঠিকানা হল এই শৈল শহর। তবে দার্জিলিংয়ের আশেপাশেই এমন অনেক ছোট ছোট গ্রাম রয়েছে যেখানকার পাহাড়ি সৌন্দর্য মনমুগ্ধ করে দেবে। এমনই একটি গ্রামের নাম মাইরুংগাঁও। এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? কী কী দেখবেন? জেনে নিন।
যদি দার্জিলিং-গ্যাংটকের ভিড়ে ঠাসা পরিবেশ থেকে দূরে শান্তি এবং নিরিবিলিতে পাহাড় ভ্রমণের মজা নিতে চান তাহলে এই পাহাড়ি গ্রাম আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন হতেই পারে। কালিম্পং থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে, নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক দিয়ে ঘেরা রয়েছে এই জায়গা। টুরিস্ট স্পট হিসেবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই গ্রামের।
কী কী দেখবেন?
এখানকার চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনমুগ্ধ করবে। সেই সঙ্গে পাখি প্রেমীদের জন্যও জায়গাটা একেবারে সেরা। এখানে হরেক রকমের পাখি দেখা যায়। অনেকে এই জায়গাতে আসেন পাখির ছবি তোলার জন্য। এখানকার মানুষ জানলা খুললেই দিগন্ত বিস্তৃত হিমালয়ান রেঞ্জের পাহাড় দেখতে পান।
এই গ্রাম থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে আলগারা। মাইরুংগাঁও থেকে আলগারা যাওয়ার পথে চমৎকার রডোডেনড্রন ফুলের সারি দেখতে পাবেন পাহাড়ের গায়ে। এখান থেকে আপনি চাইলে আলগারা ছাড়াও ইচ্ছেগাঁও, রামধুরা যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন?
মাইরুংগাঁওতে অনেক ছোট ছোট হোম স্টে রয়েছে। সেখানে আপনি থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা নিতে পারেন। ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। খুব বেশি মানুষ এই গ্রামের সম্পর্কে এখনও জানেন না। তাই পর্যটকদের ভিড় কম থাকে।
আরও পড়ুন : দার্জিলিঙ যাওয়ার সেরা সময় কোনটা? কখন গেলে সেরা ভিউ পাবেন?
আরও পড়ুন : এই দিনের আগে ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে! এরপরই বন্ধ হয়ে যাবে ডুয়ার্সের দরজা
কীভাবে যাবেন?
যদি ট্রেনে যান তাহলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। তারপর গাড়ি ভাড়া নিয়ে যেতে পারেন মাইরুংগাঁও। বা স্টেশন থেকে বাসেও মাইরুংগাঁও যাওয়া যায়। তাতে খরচটা কম পড়ে। নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল বাগডোগরা বিমানবন্দর। যারা বিমানপথে যাবেন ভাবছেন তারা বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে গাড়ি বা বাসে করে যেতে পারেন।