সমুদ্র বললেই বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে দীঘা, পুরী, মন্দারমণি। আবার সেই সঙ্গে এইসব জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর ভিড়ে ঠাসা দৃশ্যও মনে পড়ে। তবে আপনি যদি নিরিবিলিতে কোনও সমুদ্র সৈকতে সময় কাটিয়ে মানসিক শান্তি পেতে চান তাহলে সেই উপায়ও রয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল কলকাতার আশেপাশের এমন ৫ অফবিট সমুদ্র সৈকতের ঠিকানা। এখানে মানুষের ভিড় খুব বেশি থাকে না বললেই চলে।
বগুরান জলপাই
কাঁথি থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত। এখানকার পরিবেশ খুবই শান্ত এবং নিরিবিলি। পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার সময় সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ আসে। এখানকার ঝাউবন ঘেরা সমুদ্র সৈকত, লাল কাঁকড়া পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ২ দিনের জন্য ঘুরতে যেতেই পারেন। এখানে থাকার জন্য একটি জায়গা রয়েছে।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে গাড়ি ধরে পৌঁছে যেতে পারেন। আবার বাসেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কাঁথি-দীঘা বাইপাস মোড়ে নেমে অটো অথবা গাড়ি ভাড়া করতে হবে।
লাল কাঁকড়ার বিচ
মন্দারমণির খুব কাছে দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর গ্রামেও একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত রয়েছে। একে বলা হয় লাল কাঁকড়ার সৈকত। খুব বেশি মানুষ এই সমুদ্র সৈকতের সম্পর্কে জানেন না। এখানে প্রচুর লাল কাঁকড়া পাওয়া যায়। এখানে খুবই কম খরচে থাকতে পারেন রামকৃষ্ণ মিশনের অতিথি নিবাসে। তবে তার জন্য অবশ্য আগাম বুকিং করতে হবে।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া বা কলকাতা থেকে দীঘা যাওয়ার পথেই চাউলখোলা পড়বে। এখান থেকে দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর গ্রামে যেতে পারবেন।
যমুনাসুল
বাংলার ঠিক পাশের রাজ্য উড়িষ্যাতে যমুনাসুল নামের একটি অপরিচিত তবে অসম্ভব সুন্দর সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এখানে পাখির ডাক শুনে, জেলেদের মাছ ধরা দেখে ও ঢেউয়ের শব্দ শুনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। এখানে আপনি ক্যাম্পে থাকতে পারবেন।
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে উড়িষ্যার বাস্তা স্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে যমুনাসুল সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। অটো ভাড়া করে পৌঁছে যাবেন।
দুবলাগাড়ি
উড়িষ্যার দুবলাগাড়ি সমুদ্র সৈকতের নাম এই তালিকায় না রাখলেই নয়। অনেকেই এই সমুদ্রসৈকতকে বাগদা বিচ নামে চেনেন। এখানে ঝাউ বনে ঢাকা প্রান্তর, সূর্যাস্ত, পাখির ডাক, নিরিবিলি পরিবেশে এক-দুদিন ভালোই সময় কাটাতে পারবেন। এখানে সমুদ্রের তীরে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে দুবলাগাড়ির ২৪৫ কিলোমিটারের পথ ট্রেনে যেতে পারেন, আবার গাড়িতেও যেতে পারেন। ট্রেনে বালাসোরে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি করে দুবলাগাড়ি পৌঁছে যাওয়া যায়।
লালগঞ্জ সৈকত
নামখানার ঠিক পাশেই রয়েছে লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকত। কলকাতা থেকে যা মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে সমুদ্রের তীরে তাঁবুতে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন : এই দিনের আগে ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে! এরপরই বন্ধ হয়ে যাবে ডুয়ার্সের দরজা
আরও পড়ুন : বর্ষায় বেড়ানোর জন্য সেরা ৩ জায়গা! কীভাবে যাবেন, কী কী দেখবেন
কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে নামখানা পৌঁছাতে হবে। তারপর সেখান থেকে অটো কিংবা বাস ধরে পৌঁছে যাবেন লালগঞ্জে। আবার কলকাতা থেকে অনেকে গাড়ি করেও লালগঞ্জ পৌঁছান।