দার্জিলিং বরাবরই পাহাড়প্রেমীদের কাছে সেরা হয়ে থেকেছে। শুধু বাংলা নয়, বাংলার বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। দার্জিলিংকে বলা হয় কুইন অব হিলস, অর্থাৎ পাহাড়ের রাণী। গরমের ছুটি হোক কিংবা বর্ষার সময় বা শীতকাল, সব মরসুমেই এখানে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। তবে দার্জিলিংপ্রেমীরা কি আদতে দার্জিলিং শব্দের আসল মানে জানেন?
দার্জিলিংকে ভালোবেসে মানুষ নাম দিয়েছেন পাহাড়ের রাণী। পাহাড়, চা বাগান, টয় ট্রেন, ম্যাল, বিভিন্ন বৌদ্ধ মনেস্ট্রি, অর্কিডের বাগান, পাহাড়ি খাবারের রেস্তোরাঁ ইত্যাদি এই জায়গার প্রধান আকর্ষণ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, বসন্তে শৈল শহরের আলাদা আলাদা রূপ ফুটে ওঠে। দার্জিলিং আসলে সুন্দর। তবে এর নাম কিন্তু ভয়ংকর সুন্দর।
দার্জিলিং শব্দের মানে কী?
দার্জিলিং এই নামটি আসলে তিব্বতি শব্দ ‘দর্জি’ থেকে এসেছে। ব্রিটিশরা ভারত দখলের পর দার্জিলিংকে ‘দর্জেলিং’ বলা হতে থাকে। তিব্বতি ভাষায় ‘দর্জি’ শব্দের অর্থ বজ্রপাত। আর ‘লিং’ শব্দের অর্থ স্থান বা ভূমি। আর দার্জিলিং কথার অর্থ হল ‘বজ্রের দেশ’।
ভারত দখলের পর দার্জিলিংয়ের পরিবেশ ব্রিটিশদের খুবই পছন্দ হয়। এই জায়গার আবহাওয়া চা চাষের উপযুক্ত বলে মনে করে তারা। এবং সেই মত এরপর চীনা চায়ের বীজ নিয়ে এসে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে চা চাষ শুরু হয়। দার্জিলিংয়ের চা এরপর গোটা বিশ্বে রপ্তানি হতে শুরু করে। দার্জিলিং চায়ের জনপ্রিয়তা আজ আর বলতে হয় না।
আরও পড়ুন : দার্জিলিং-গ্যাংটক অতীত, এই গরমে প্রাণ জুড়োতে ঘুরে আসুন এই ৬ টি দুর্দান্ত জায়গা
আরও পড়ুন : দার্জিলিঙ যাওয়ার সেরা সময় কোনটা? কখন গেলে সেরা ভিউ পাবেন?
দার্জিলিংয়ে প্রায় প্রতিটি মরসুমেই পর্যটকদের ভিড় থাকে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত এবং বসন্তে উপচে পড়ে ভিড়। গ্রীষ্মের সময় যেমন এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে, বর্ষাতেও মোহময়ী সাজে সেজে ওঠে দার্জিলিং। শীতে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা অনেক নেমে যায়। বসন্তকালেও এখানকার আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে। তাই তো বাংলা এবং বাংলার বাইরে থেকে, এমনকি বিদেশ থেকেও বহু মানুষ দার্জিলিং ঘুরতে আসেন।