আমাদের দেশ ভারতবর্ষের নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান। এখানে সাধারণত কারও ভাষা কিংবা পোশাক নিয়ে কোনও কড়াকড়ি নেই। তবে জানেন কি এই পৃথিবীতে এমনও দেশ রয়েছে যেখানে নিজের পছন্দমত পোশাক পরার আগে দশবার ভাবতে হবে আপনাকে? অন্ততপক্ষে সেই দেশে জিন্স আপনি একেবারেই পরতে পারবেন না। জানেন সেই দেশের নাম?
বর্তমানে জিন্স পোশাক হিসেবে সমগ্র বিশ্বে সমাদ্রিত। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জিন্স পরার প্রচলন চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। অনেকেই এই পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি দেশ রয়েছে যেখানে জিন্স পরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সরকার। দেশটির নাম উত্তর কোরিয়া। অন্যান্য আরও অনেক বিধি নিষেধের সঙ্গে সে দেশের নাগরিকদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়েও নিয়ম-কানুন বেঁধে দিয়েছে সরকার।
উত্তর কোরিয়াতে অনেক কুখ্যাত নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। যেমন সে দেশের মহিলারা লাল রঙের লিপস্টিক পরতে পারবেন না। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের চুলের স্টাইলের নকল অন্য কোনও নাগরিক করতে পারবেন না। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার মানুষেরা যে জিন্সও পরতে পারেন না এটা জেনে অবাক হয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু কেন এমন নিয়মের প্রচলন রয়েছে সেই দেশে?
উত্তর কোরিয়াতে কেন জিন্স পরা নিষিদ্ধ?
আসলে উত্তর কোরিয়া আমেরিকাকে তাদের চিরশত্রু বলে মনে করে। আর নীল রঙের জিন্সকে সেখানে সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই পশ্চিমী সভ্যতা এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে জিন্স নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০০৯ সালে সুইডেনে জিন্স রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। গোটা বিশ্বে এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ হয়। এবং শেষমেষ উত্তর কোরিয়ার এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভেস্তে যায়। অনেকে বলেন উত্তর কোরিয়াতে জিন্স তৈরি করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সেখানে জিন্স পরা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন : বদলে গেল ব্রিটেনের গ্রাজুয়েট রুট ভিসার নিয়ম, এইভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয় পড়ুয়ারা
আরও পড়ুন : পৃথিবীর কোন দেশে সব থেকে বেশি সোনা আছে? ভারতে সোনার পরিমাণ কত?
যদিও উত্তর কোরিয়ার আভ্যন্তরীণ তথ্য বাইরের বিশ্বের কাছে কতটা যাবে তার উপর সরকারের কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কাজেই উত্তর কোরিয়াতে জিন্স পরা সত্যিই নিষিদ্ধ কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারবে না কেউ। সেই তথ্য কেবল সেই দেশের মানুষেরাই জানেন।