এই চাঁদিফাটা গরমে স্নো ফল দেখতে চান, ঘুরে আসুন ভারতের এই ৬ জায়গা থেকে

Published on:

Best 6 Hill Stations Where You Can Find Snow Even In Summer

মে-জুন মাস পর্যন্ত প্রচন্ড গরমে নাজেহাল হতে হয়। এই সময় সকলেরই মন পাহাড়ের দিকে ছোটে। দক্ষিণবঙ্গে গরমে এত কষ্ট পাচ্ছেন মানুষ। তবে এই জুন মাসেও কিন্তু ভারতের বেশ কিছু জায়গায় বরফ পড়ে তা জানেন? আজকের এই প্রতিবেদনে রইল তেমনি কিছু জায়গার নাম। অন্যান্য জায়গাতে যেখানে প্রচন্ড গরমে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন সেখানে এই ৬ জায়গাতে রীতিমতো গরম জামা, লেপ-কম্বল ছাড়া চলে না। দেখে নিন এক নজরে কোন কোন জায়গা রয়েছে এই তালিকায়।

দ্রাস

জম্মু-কাশ্মীরের দ্রাস নামক এই জায়গাটিকে লাদাখের প্রবেশদ্বার বলা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,৯৯০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই জায়গা। সারা বছরই এখানে শীত থাকে। ভারতের শীতলতম জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম এই জায়গা।

Dras

কীভাবে যাবেন?

ট্রেনে গেলে শ্রীনগর এয়ারপোর্টে নামতে হবে। এখান থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্রাস। এয়ারপোর্ট থেকে বাসে কিংবা ট্যাক্সিতে করে দ্রাসে পৌঁছাতে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে।

ছোপটা

উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাকে ভারতের মিনি সুইজারল্যান্ড বলা হয়। এখানকার আবহাওয়া গরমকালেও ভীষণ মনোরম থাকে। এখানে গেলে আপনি তুঙ্গনাথ এবং চন্দ্রশিলা পাহাড়ে ট্রেকিং করতে পারবেন। জুন মাসেও এখানে বরফ পড়ে।

Chopta

কীভাবে যাবেন?

দেরাদুন এয়ারপোর্টে নেমে সেখান থেকে ২২৬ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয়। আপনি ট্যাক্সিতে করে ৭-৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবেন। আবার রেল পথে এলে হৃষিকেশ রেল স্টেশনে থামতে হবে। এখান থেকে ছোপটা ২০৯ কিলোমিটারের পথ।

মুন্সিয়ারি

উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারিও গরমে বেড়ানোর পক্ষে আদর্শ জায়গা। এখানে ট্রেকিং করার সুবিধা পাবেন। গরমের সময়ও পাহাড়ের চূড়াগুলো বরফে ঢাকা থাকে।

Munsiyari

কীভাবে যাবেন?

উত্তরাখণ্ডের পান্টনগর বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ৩১২ কিলোমিটার পথ ট্যাক্সিতে বা বাসে করে যেতে হয়। আর রেলপথে গেলে কাঠগোদাম স্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে ২৭৫ কিলোমিটার পর ট্যাক্সিতে যেতে হবে।

লাচুং

সিকিমের লাচুং গ্রামের নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। লাচুংয়ের উপত্যকায় জীব বৈচিত্র্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এখানে হরেক রকমের পাখি দেখা যায়।

Lachung

কীভাবে যাবেন?

বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই স্থানে যাওয়া যায়। ট্যাক্সি কিংবা বাসে করে যেতে পারেন। আবার রেল পথে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বা শিলিগুড়ি স্টেশনে নেমে গ্যাংটক পৌঁছে তারপর গ্যাংটক থেকে লাচুং যাওয়া যায়।

স্পিতি ভ্যালি

গরমের হাত থেকে বাঁচতে হিমাচল প্রদেশের এই জায়গাতেও ঘুরতে যেতে পারেন। এই জায়গার কিছু কিছু অংশে গরমের সময়তেও বরফ দেখা যায়।

Spiti Valley

কীভাবে যাবেন?

ট্রেনে কিংবা বিমানে করে মানালিতে পৌঁছে তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি করে মোট ১০ ঘণ্টা পর অতিক্রম করে এই জায়গায় যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে রোহতং পাস, কুনজুম পাস পড়বে।

তাওয়াং

অরুণাচল প্রদেশের এই জায়গার সৌন্দর্য অতুলনীয়। এখানে বেশ কিছু বৌদ্ধমঠ রয়েছে। গরমের সময় এখানে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে।

আরও পড়ুন : জুন-জুলাই মাসে ঘোরার জন্য ভারতের সেরা ১০টি জায়গা, না গেলে চরম মিস

Tawang

আরও পড়ুন : সিকিম যাওয়ার আদর্শ সময় কোনটি? কী কী দেখবেন? কীভাবে যাবেন?

কীভাবে যাবেন?

আসামের তেজপুর বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ৩২০ কিলোমিটার পথ যেতে হবে।। ট্যাক্সি করে যেতে গেলে ১২ ঘন্টা সময় লাগবে। এছাড়া ট্রেনে করে আসামের গুয়াহাটি পর্যন্ত পৌঁছে তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি করে এই স্থানে পৌঁছাতে পারবেন।