গরমের ছুটি অতীত। ভারতে এরই মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেরও বিভিন্ন জেলাতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে কমবেশি। আলাদা আলাদা মরসুমে প্রকৃতির আলাদা আলাদা রূপ ফুটে ওঠে। যদি আপনি বর্ষার সময়ে কোথাও ঘোরাঘুরির প্ল্যান করে থাকেন তাহলে কোথায় যাবেন? এই বর্ষাতে ভারতের কোন কোন জায়গায় বেড়ানোর পক্ষে উপযুক্ত? দেখে নিন সেই তালিকা এই প্রতিবেদন থেকে।
বর্ষায় বেড়ানোর জন্য সেরা ১০ জায়গা
লাদাখ
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত এবং বসন্তে লাদাখের আলাদা আলাদা রূপ ফুটে ওঠে। লাদাখে রয়েছে বরফাচ্ছাদিত পর্বত, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত হ্রদ, বহু প্রাচীন মঠ, মন্দির ইত্যাদি। এখানে প্যাংগং লেক, নুব্রা উপত্যকা, খার দুং লা পাস, ম্যাগনেটিক হিলস ইত্যাদি জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে। এখানে ট্রেকিং, রিভার রাফটিং, মাউন্টেন বাইকিং করা যায়।
ডালহৌসি
হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসিতেও যাওয়া যেতে পারে জুন এবং জুলাই মাসে। এই সময় এখানকার তাপমাত্রা ১১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এখানে চামেরা হ্রদে বোটিং করতে পারেন। কালাটপ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হাইকিং করতে পারেন।
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স
উত্তরাখণ্ডের ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স বর্ষার সময় সুন্দর সুন্দর ফুলে সেজে ওঠে। জুলাই মাসের দিকে এই জায়গার তাপমাত্রা থাকে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। হিমালয়ের পাহাড় এই সময় স্যাক্সিফ্রাগা নামের ছোট ছোট পাহাড়ি ফুলে ভরে যায়। এছাড়াও বন্য গোলাপ, জেরানিয়াম ইত্যাদি ফুলের সৌন্দর্য এই জায়গাকে স্বর্গরাজ্য করে তোলে।
উদয়পুর
রাজস্থানের উদয়পুরেও বর্ষার সময় বেশ ভালো মনোরম পরিবেশ থাকে। জুলাই মাসে এখানে ২৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকে। রাজস্থানে অনেক দর্শনীয় জায়গা রয়েছে। এখানে সজ্জন গড় প্যালেস, সিটি প্যালেস, লেক পিচোলা, জগ মন্দির রয়েছে। রাজস্থানী ঘরানার খাবার খেতে পারবেন।
লোনাভলা
বর্ষার সময়ও যারা হিল স্টেশনে যেতে চান তাদের জন্য মহারাষ্ট্রের লোনাভলাও রয়েছে। সারা বছরই এখানে মানুষের ভিড় থাকে। তবে বর্ষার সময়ে সবুজ গাছ, জলপ্রপাত, টাইগার হিল, বুশি ড্যাম, অন্ধ্রবন দেখার জন্য সেরা সময়।
শিলং
মেঘালয়ের শিলংকে ভারতের স্কটল্যান্ড বলা হয়। জুন এবং জুলাই মাসে এখানকার আবহাওয়া খুবই রোমান্টিক থাকে। এখানকার জলপ্রপাত, হ্রদ, কাছাকাছিতে অবস্থিত চেরাপুঞ্জির লিভিং রুট ব্রিজ রয়েছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে।
দার্জিলিং
বর্ষার সময় কাছাকাছির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং যেতে পারেন। এখানে দেখার মত অনেক কিছুই আছে। দার্জিলিং চা, কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য, বৌদ্ধমঠ ইত্যাদি বিখ্যাত। জুন এবং জুলাই মাসে এখানে গরম তেমন থাকে না। পরিবেশ মনোরম থাকে।
আরও পড়ুন : কন্যাকুমারীতে বেড়াতে গেলে কোন কোন রেস্টুরেন্টের খাবার খেতেই হবে? দেখে নিন তালিকা
কুর্গ
কর্নাটকের পশ্চিমঘাটে অবস্থিত কুর্গ বা কোডাগু। জুন এবং জুলাই মাসে এখানে ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। এখানে রয়েছে অ্যাবে জলপ্রপাত, দুবেরে এলিফ্যান্ট ক্যাম্প। এখানকার কফি বাগানে ঘুরতে যেতে পারেন। স্থানীয় কোডাভা খাবারের স্বাদ নিতে পারেন।
উটি
তামিলনাড়ুর নীলগিরিতে অবস্থিত উটিও বেশ বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। জুন এবং জুলাই মাসে এখান থেকে তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। নীলগিরি পর্বতের সর্বোচ্চ শিখর দোদাবেতাতে ট্রেকিং করতে পারবেন। এখানে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ, সুন্দর সুন্দর ফুলে ভরা বাগান এবং চা বাগান বিখ্যাত।
আরও পড়ুন : সিকিম যাওয়ার আদর্শ সময় কোনটি? কী কী দেখবেন? কীভাবে যাবেন?
কেরালা
কেরালাকে বলা হয় ঈশ্বরের বাড়ি। এখানে আলেপ্পির ব্যাক ওয়াটার, মুন্নারের হিল স্টেশন, আথিরাপল্লী, ভাজা চল জলপ্রপাত, পেরিয়ার জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে যেতে পারেন।