আজ থেকে সুন্দরবন প্রবেশ নিষিদ্ধ! এই তারিখে ফের খুলবে দরজা

Published on:

Bangladesh Forest Department Ban On Entering In Sundarban For Next Three Months

বাংলাতে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে প্রায়। এই সময় যারা সুন্দরবনে ঘুরতে যেতে চাইছেন তাদের জন্য এলো এক বড় দুঃসংবাদ। আগামী তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে গেল বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য। শনিবার অর্থাৎ ১লা জুন থেকে কার্যকর হবে এই নিয়ম। শুধু পর্যটকরাই নয়, বাংলাদেশে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে এখন থেকে স্থানীয় মানুষদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। কেন জানেন?

জুন, জুলাই, আগস্ট, এই ৩ মাস ধরে কার্যত বর্ষা চলবে। এই সময় বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়। সুন্দরবনের নদী, খাল, জঙ্গলে বন্যপ্রাণী, মাছ এবং অন্যান্য জীবজন্তুর প্রজননে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময় সুন্দরবনের নদী ও খাল-বিলে মাছ ধরাও নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বন বিভাগের নির্দেশ অনুসারে।

Sundarbans

বাংলাদেশে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার সুপারিশ অনুসারে ২০১৯ সাল থেকে প্রত্যেক বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাস সুন্দরবনের নদী এবং খালে মাছ ধরা বন্ধ থাকতো। ২০২২ থেকে আরও এক মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মাছেদের প্রজননের সময়। তাই কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে সবাইকেই।

এই সময় সুন্দরবনের নদী এবং খালে থাকা মাছ ডিম পাড়ে। তাছাড়া বন্যপ্রাণীদেরও প্রজননের সময় এখন। মানুষের অবাধ যাতায়াতে যাতে তাদের সমস্যা না হয় তার জন্য এই নিয়ম পালন করতে হবে সবাইকে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সুন্দরবনের প্রাণী এবং জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। বহু প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। বন্যপ্রাণীরা যাতে এবার নিরুপদ্রব্যে থাকতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা।

Sundarbans

সুন্দরবনে যাতে বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রশাসন। এই তিন মাস যাতে বনে কেউ না যায় তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষদের সতর্ক করছে। এখন তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য কাউকে পাস কিংবা পারমিট দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন : বাংলার সেরা ১০টি হিল স্টেশন, গরমে বেড়ানোর জন্য একেবারে আদর্শ

Sundarbans

আরও পড়ুন : এক ধাক্কায় কমে গেল সিকিম ঘোরার খরচ, জলের দরে ঘুরে আসুন গ্যাংটক

বন বিভাগের নির্দেশমত ১ লা জুন থেকে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না কেউ। তবে স্থানীয় যে মানুষদের জীবিকা সুন্দরবনের মাছ, কাঁকড়া এবং মধু সংগ্রহ করে অতিবাহিত হয় তারা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।