ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কার্যত ভারতের বেশকিছু রাজ্যের উপর পড়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, আসাম রাজ্যের উপরেও দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে। বিশেষত ব্যাহত হয়েছে ভারতীয় রেলের ট্রেন ব্যবস্থা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পরিবহন ব্যবস্থা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে দুর্যোগের কারণে। যে কারণে কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিছু কিছু ট্রেনকে আংশিক সময়ের জন্য বাতিল করা হয়েছে। আবার কিছু ট্রেনের সময় বদলেছে।
আসামের ডিমা হাসাও জেলার কিছু পাহাড়ি এলাকাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারণে রেলওয়ে ট্র্যাক, ইয়ার্ড এবং টানেল গুলোতে জল জমেছে। সাইক্লোনের কারণে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর গাছ উপড়ে পড়ে বিপত্তি বেঁধেছে। যে কারণে আগরতলা এবং শিলচরগামী দূরপাল্লার ট্রেনগুলো মাঝপথে আটকে পড়ে।
এই দুর্যোগের কারণে লোকমান্য তিলক টার্মিনাস থেকে আগরতলা গামী ১২৫১৯ নং. ট্রেনটিকে লামডিং স্টেশনে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টার পর ট্রেনটি আবার রওনা দেয়। এর মাঝে অবশ্য যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাবার এবং পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছিল রেলের তরফ থেকে। যাত্রীদের গোয়াহাটি স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের প্রথম শ্রেণীর ওয়েটিং হলে রাখা হয়।
শিয়ালদহ থেকে আগত শিলচরগামী ১৩১৭৫ ট্রেনটিকে লামডিং স্টেশনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যাত্রীদের রেলের তরফ থেকে চা এবং স্ন্যাক্স দেওয়া হয়েছিল। ১ ঘন্টা ২৫ মিনিট পর ট্রেনটি গুয়াহাটি পৌঁছায়। যাত্রীদের গুয়াহাটি স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের প্রথম শ্রেণীর ওয়েটিং হলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন : হাওড়া মেট্রো স্টেশনের এই সুযোগ-সুবিধাগুলোর বিষয়ে জানেন না অনেকেই
আরও পড়ুন : কেমন হবে বন্দে ভারত স্লিপার এক্সপ্রেসের কামরা? ঘুরে দেখুন ট্রেনের অন্দরমহল
দুর্যোগের কারণে যাত্রীদের হয়রানীর মুখে পড়তে হলেও রেলের তরফ থেকে সহায়তা পেয়েছেন তারা। ট্রেন বাতিল হলেও অন্য ট্রেনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়েছে। কোথাও প্রায় ২৪ ঘন্টা লেট চলেছে ট্রেন। তবে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় খাবার, জল ও বিশ্রামের ব্যবস্থা পেয়েছেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের তরফ থেকে সহযোগিতা পেয়ে খুবই খুশি যাত্রীরা।