গরমে বাজেট একটু বেশি থাকলে দার্জিলিং-গ্যাংটকের বদলে কাশ্মীর বেড়ানোর প্ল্যান বানাতেই পারেন। এই সময় অনেকেই কাশ্মীরে ভিড় করেন। কাশ্মীরে ঘোরার মত অনেক জায়গা রয়েছে। তবে এমন বেশ কিছু জায়গাও রয়েছে যে জায়গাগুলোর নাম খুব কম মানুষই শুনেছেন। বেশিরভাগেরই কাশ্মীর ট্রিপে এই জায়গাগুলো অদেখা থেকে যায়। তাই আপনি যদি সামনেই কাশ্মীর যাওয়ার প্ল্যান করেন তাহলে যেন এই জায়গাগুলোতে একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না।
ইউস মার্গ
কাশ্মীর উপত্যকার পশ্চিমে শ্রীনগর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহর। এখানে নাকি যীশু খ্রীষ্ট এসেছিলেন। এখানে বাইরের মানুষের ভিড় খুব একটা থাকে না বললেই চলে। তবে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব। এই শহরে বিভিন্ন ছোট ছোট ঝর্ণা রয়েছে। বিভিন্ন জাতের পাখি এবং বন্যপ্রাণীরও দেখা মিলবে। শহরের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দুধগঙ্গা। গ্রীষ্মকালেও এই নদীর জল বরফ হয়ে থাকে। এখানে ঘোরায় চড়া, মাছ ধরা ও স্কিইং করতে পারবেন।
অরু ভ্যালি
পহেলগাঁও থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরের নাম অনেকেই শোনেননি। এখানে বরফে মোড়া পাহাড়ের শৃঙ্গ, পাহাড়ি ঝর্ণা ও সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই শহরের পাশ দিয়ে অরু নদী বয়ে গিয়েছে।
গুরেজ
কাশ্মীরে গুরেজ নামের একটি অখ্যাত গ্রাম রয়েছে। অখ্যাত, তবে ফেলনা নয়। বন্দিপুর থেকে ৮৬ কিলোমিটার এবং শ্রীনগর থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। এই গ্রামের মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণগঙ্গা নদী বয়ে গিয়েছে। মে মাস পর্যন্ত এখানে তুষারপাত হয়। তাই গরমের সময় গেলেও কিন্তু এখানে আপনি বরফ পাবেন। এখানে আবার স্নো লেপার্ড বা বাদামি ভল্লুক দেখা যায় মাঝে মাঝে। এখানে গিয়ে আপনি ডাক বাংলো বা প্রাইভেট হোটেলে থাকতে পারবেন।
তুলেইল ভ্যালি
গুরেজ ঘুরতে গিয়ে একইসঙ্গে তুলেইল ভ্যালি দেখে আসতে পারেন। গুরেজ গ্রামের ঠিক নিচের উপত্যকাতেই রয়েছে তুলেইল। এখানে নানা রকমের ফুল ফুটে থাকে। তবে এখানে যাওয়ার আগে ভারতীয় সেনার অনুমতি নিতে হয়। কারণে এই জায়গাটা একেবারে সীমান্তবর্তী এলাকাতে অবস্থিত।
ডাকসুম
শ্রীনগর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কোকেরনাগ জেলায় অবস্থিত ডাকসুম। এই এলাকাকে ঘিরে রেখেছে পীর-পাঞ্জাল পর্বত শ্রেণী। কাশ্মীরের ব্রিঙ্ঘি নদীর উপত্যকায় অবস্থিত এই জায়গাতে গরমের সময়েও বরফ পাওয়া যায়। আবার সবুজ অরণ্যও রয়েছে এখানে। এখানে গিয়ে ট্রেকিং করতে পারেন।
আরও পড়ুন : মাত্র ১০০০ টাকাতেই বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পারেন! রইল দার্জিলিংয়ের সেরা হোটেলের ঠিকানা
আরও পড়ুন : এক ধাক্কায় কমে গেল সিকিম ঘোরার খরচ, জলের দরে ঘুরে আসুন গ্যাংটক
দুধপাথারি
শ্রীনগর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গা। এখানে থাকার জন্য হোটেল পাবেন। বেশ কিছু রিসোর্ট পাবেন। এখানকার শুখনাগ উপত্যকার উপর দিয়ে যে নদী বয়ে যায় তার জল দুধের মত সাদা। এই কারণেই এই উপত্যকার নাম দুধপাথারি রাখা হয়েছে। এখানে গেলে হাইকিং করতে পারবেন। ট্রেকিং করতে পারেন।