বাঙালির কাছে দার্জিলিংয়ের ঠিক পরেই গ্যাংটকের স্থান। পাহাড় প্রেমীরা জীবনে অন্তত একবার হলেও গ্যাংটক যাওয়ার চেষ্টা করেন। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক শহর এমনিতেই সুন্দর। তার উপর আবার এখান থেকে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড়ি স্পট ভ্রমণ করা যায়। তবে এতদিন সমস্যা ছিল অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া। সিকিম প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবার গ্যাংটক যাত্রীদের খরচ কয়েক হাজার টাকা কমে গেল।
কিছুদিন আগেই ভারত সরকারের তরফ থেকে সিকিম প্রশাসনের কাছে একটি অভিযোগ পাঠানো হয়। সিকিমের বিভিন্ন পাহাড়ি স্পট ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের কাছে লাগাম ছাড়া ভাড়া নিচ্ছিলেন গাড়িচালকরা। ভারত সরকারের থেকে অভিযোগ পেয়ে এবার নড়েচড়ে বসলো সিকিম প্রশাসন। তারা সম্প্রতি নতুন একটি রেট চার্ট প্রকাশ করেছে।
সিকিম প্রশাসন সম্প্রতি ছাঙ্গু লেক, বাবা ধাম, গুরুদংমার, নাথুলা পাস, নিউ জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন জায়গাতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে। নতুন তালিকাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পথে গাড়ি ভাড়ার চার্জ কয়েক হাজার টাকা কমে গিয়েছে। এক নজরে জেনে নিন সিকিম থেকে নাথুলা যাওয়ার জন্য কত খরচ পড়বে ও কী কী নথি লাগবে।
সিকিম থেকে নাথুলা যেতে স্পেশাল পারমিটের জন্য কী কী নথি লাগবে?
নাথুলা যাওয়ার জন্য ভারতীয়দের ভোটার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ১৮ বছরের নিচে বয়স হলে সকলের বার্থ সার্টিফিকেট বা বাবার ভোটার কার্ড অথবা পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। সিকিম সরকারের নিয়ম অনুসারে নাথুলাতে প্রতিদিন ৮০০ গাড়ি যাওয়ার পারমিশন দেওয়া হয়।
সিকিম থেকে নাথুলা যেতে হলে কত খরচ পড়বে?
সিকিম থেকে নাথুলা যেতে হলে মাথাপিছু ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয় পারমিটের জন্য। ছাঙ্গু লেক বা বাবা ধাম যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১০ টাকা দিয়ে পারমিট নিতে হয়। যাত্রা শুরুর পর ৩ মাইল গিয়ে পারমিটের প্রথম পরীক্ষা হয়। এরপর ৫ মাইল অতিক্রম হলে ছাঙ্গু লেকের জন্য পারমিটের পরীক্ষা হয়। শেরথাংয়ে নাথুলার ডকুমেন্ট পরীক্ষা হয়।
যদি গ্যাংটক থেকে নাথুলা যাওয়ার জন্য লাক্সারি গাড়ি ভাড়া করেন সেক্ষেত্রে ৭ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। আর যদি সাধারণ গাড়ি ভাড়া করতে চান তাহলে ৬৫০০ টাকা গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। পারমিটের যাবতীয় খরচ এই ভাড়ার মধ্যেই ঢুকে পড়বে। আলাদা করে কোনও টাকা দিতে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : বাংলার সেরা ১০টি হিল স্টেশন, গরমে বেড়ানোর জন্য একেবারে আদর্শ
আরও পড়ুন : মাত্র ১০০০ টাকাতেই বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পারেন! রইল দার্জিলিংয়ের সেরা হোটেলের ঠিকানা
তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম না মেনে এতদিন পর্যটকদের থেকে ইচ্ছেমত ভাড়া নিচ্ছিলেন। সিকিম সরকারের নতুন নিয়মে তাদের উপর কড়া ব্যবস্থা হল। যদি কেউ এই নিয়ম অমান্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ১৯৮৮, কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ১৯৮৯ এবং সিকিম মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ১৯৯১ অনুসারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।