পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৮ রহস্য, আজও বিজ্ঞান যার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি

Updated on:

10 Mysterious Facts About Puri Jagannath Temple

৭ই জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে রথযাত্রা। তবে গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বড় জগন্নাথ মন্দির পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথ উৎসব পালন হবে আগামী রবিবার। উড়িষ্যার সব থেকে বড় উৎসব এটা। রথযাত্রায় অংশ নিতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসবেন পুরীতে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রহস্য। এরকম ৮ টি রহস্যের সমাধান হয়নি আজও। জানলে গায়ে কাঁটা দেবে।

পুরীর মন্দিরের পতাকা

সাধারণত যেকোনও সাধারণ পতাকা হাওয়া যেদিকে বয় সেদিকেই ওড়ে। ব্যতিক্রম পুরীর মন্দিরের পতাকা। পুরীর মন্দিরের চূড়ায় প্রত্যেকদিন নতুন নতুন পতাকা লাগানো হয়। বলা হয় যদি এক দিনও নিয়ম ভাঙ্গে তাহলে ১৮ বছর মন্দির বন্ধ থাকবে। ৪৫ তলা উঁচু বাড়ির সমান মন্দিরে সুরক্ষা কবচ না নিয়ে খালি হাতেই পতাকা লাগাতে ওঠেন মন্দিরের সেবায়ত। এই পতাকার বিশেষত্ব এই যে হাওয়ার উল্টোদিকে ওড়ে।

Puri

মন্দিরের ছায়া পড়ে না

প্রায় চার লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। মন্দিরটি ২১৪ ফুট উঁচু। কিন্তু এই মন্দিরের চূড়ার কোনও ছায়া মাটিতে পড়ে না। বিজ্ঞান এর ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

মন্দিরের উপর পাখি ওড়ে না

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপর কখনও কোনও পাখি উড়তে দেখবেন না। সাধারণ বাড়ি কিংবা মন্দিরের উপর দিয়ে অনায়াসে পাখিরা যাতায়াত করে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পুরীর মন্দিরের উপর দিয়ে পাখি ওড়ে না।

PURI

মন্দিরের চক্র

জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় একটি চক্র রয়েছে। আপনি যে প্রান্ত থেকেই ওই চক্রের দিকে তাকান না কেন মনে হবে যেন চক্র আপনার দিকেই ঘোরানো রয়েছে। ১২ শতকে এই চক্র বসানো হয়েছিল। চক্রের ওজন ১ টন। এত বছর আগে অত উঁচুতে কীভাবে এত ভারী চক্র বসানো হল তা আজও রহস্য।

কাঠের মূর্তি

জগন্নাথ মন্দিরে নবকলেবরের পর জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি বদল করা হয়। ওই সময় গোটা শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। বলা হয় যদি কেউ এই মূর্তি বদল নিজের চোখে দেখেন তাহলে তিনি অন্ধ হয়ে যাবেন। মন্দিরের প্রবীণ পুরোহিত চোখ বেঁধে হাতে দস্তানা পরে মূর্তি বদল করেন।

PURI

মহাপ্রসাদ

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘর বিশ্বের বৃহত্তম রান্নাঘর। ৭টি উনুনে কাঠের আঁচে একটি পাত্রের উপর আরেকটি পাত্র বসিয়ে পরপর ৭ টি পাত্র রেখে রান্না হয়। মন্দিরে যত ভক্ত আসুন না কেন, মহাপ্রসাদের কমতি হয় না কখনও।

সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন

সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন সে তো অনেক প্রবল। মন্দিরের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ঢেউয়ের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু মন্দিরে একবার প্রবেশ করলে আপনি আর কোনও শব্দ শুনতে পাবেন না। কথিত আছে দেবী সুভদ্রা নাকি চেয়েছিলেন মন্দিরে নীরবতা বজায় থাকুক।

আরও পড়ুন : পুরীতে গিয়ে ভুলেও করবেন না এই ১০ কাজ, নাহলে চরম বিপদে পড়বেন

PURI

আরও পড়ুন : যেতে হবে না পুরী! রথযাত্রায় এই বাংলায় জগন্নাথ দর্শন হবে ১০ জায়গায়

হাওয়ার গতি

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হাওয়ার গতি উল্টো দিকে চলে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সাধারণত দিনের বেলা সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে হাওয়া বয়। রাতে ঠিক তার উল্টোটা। কিন্তু পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধারে কাছে হাওয়া উল্টোদিকে বয়।