কাশী, উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলার এই শহর ভারতবর্ষের অন্যতম পবিত্র একটি তীর্থক্ষেত্র। এখানে রয়েছে অনেক মন্দির। মন্দিরে পূজা-আরতি ও গঙ্গা স্নানে পুণ্য অর্জন করতে বহু মানুষ এখানে আসেন। সামনেই শ্রাবণ মাস। মহাদেবের পূজার মাস। এই সময় ঘুরে আসতে পারেন কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির থেকে। শুধু বিশ্বনাথ মন্দির কেন, ঘুরে দেখতে পারেন কাশীর আরও একাধিক মন্দির। কোথায় কোথায় যাবেন? কী কী দেখবেন? জেনে নিন।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির
কাশী বিশ্বনাথ শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি। এখানে মহাদেবকে বিশ্বনাথ বা বিশ্বেশ্বর নামে পুজো করা হয়। হিন্দু পুরাণে এই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে। একাধিকবার এই মন্দিরকে ধ্বংস করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে জ্ঞানব্যাপী মসজিদটি রয়েছে আজও।
দশাশ্বমেধ ঘাট
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছেই রয়েছে এই জায়গা। এখানে মহাদেবকে আমন্ত্রণ করার জন্য ব্রহ্মা ১০ টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। এই ঘাটে ভোরবেলা এবং সন্ধ্যেবেলার গঙ্গা আরতি দেখলে মন ভরে যাবে। কিছুদিন সময় নিয়ে যেতে পারলে নৌকো করে দশাশ্বমেধের সব ঘাট ঘুরে আসতে পারবেন।
সারনাথ
বেনারস থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে সারনাথ। বোধি লাভের পর গৌতম বুদ্ধ এখানেই প্রথম এসে ধর্মের বাণী প্রচার করেন। বৌদ্ধদের কাছে খুবই পবিত্র এই জায়গা। এখানে সম্রাট অশোকের দ্বারা নির্মিত একাধিক স্তুপ এবং মঠ রয়েছে।
বিন্ধ্যবাসিনী মন্দির
এই মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা হয়। মহিষাসুর বধের জন্য দেবতাদের তেজ থেকে বিন্ধ্যবাসিনী পর্বতের শিখরেই মা দুর্গার আবির্ভাব হয়। পরবর্তীকালে দেবী এখানেই শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। বিন্ধ্যবাসিনী আদ্যাশক্তির কোষ থেকে উৎপন্ন বলে এর আরেক নাম কৌশিকী।
আরও পড়ুন : কবে খুলবে দীঘার জগন্নাথ মন্দির? বড় আপলোড দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন : পুরীর রত্ন ভান্ডারে মোট কত সোনা আছে? শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার
বিশালাক্ষী মন্দির
সতীর ৫১ পীঠের মধ্যে বিশালাক্ষী একটি। এখানে সতীর চোখ এসে পড়েছিল। তাই এই জায়গাকে কেন্দ্র করে যে মন্দির গড়ে উঠেছে তার নাম হয়েছে বিশালাক্ষী।