ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, প্রিন্সেপ ঘাট কিংবা তারামণ্ডল, গড়ের মাঠ, জাদুঘর শুধু নয়, কলকাতা শহরের আনাচে-কানাচে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো থেকে অনায়াসে ঘুরে আসা যায় ছুটির দিনে। আজকের এই প্রতিবেদনে কলকাতার এমন ৩ অজানা জায়গার সন্ধান রইল যেখানে খুব বেশি মানুষের ভিড় চোখে পড়বে না। নিরিবিলিতে ছুটির দিনগুলো কাটাতে পারেন এই জায়গাগুলোতে। দেখে নিন তালিকা।
পরেশনাথ জৈন মন্দির
মানিকতলা থেকে কিছুদূর এগিয়ে গৌরী বাড়ির কাছে বদ্রীদাস টেম্পল স্ট্রিটে রয়েছে এই মন্দির। মন্দিরের বয়স প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি। এখানে একসঙ্গে চারটি মন্দির রয়েছে। প্রধান মন্দিরটি শীতলনাথজির। তার ডান পাশে চন্দ্রপ্রভুজি ও আশেপাশে দাদাওয়াড়ি ও মহাবীর স্বামী মন্দির রয়েছে। মার্বেলের তৈরি মন্দির, চারদিকে ফুলের গাছ, ফোয়ারা, জলের মধ্যে খেলা করে মাছেরা।
১৮৬৭ সালে বদ্রিদাস বাহাদুর মুকিম এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের জন্য। দাদাজির মন্দিরটি সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি। শীতল নাথজির মন্দিরের গায়ে বসানো রয়েছে রঙিন পাথর এবং আয়না। প্রতিদিন সকাল ৬.০০টা থেকে সকাল ১১.০০ টা এবং বিকেল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দির।
মার্বেল প্যালেস
জোড়াসাঁকোর কাছে মুক্তারামবাবুর স্ট্রিটে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই মার্বেল প্যালেস। রাজপ্রাসাদের চারধারে রয়েছে সবুজ ঘাসে ঢাকা বাগান। এখানে একটা ছোট্ট চিড়িয়াখানাও রয়েছে যেখানে বিভিন্ন রকম পাখি এবং হরিণ দেখা যায়। ১৮৩৫ সালে রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক এই প্রাসাদের নির্মাণ করেন। প্রাসাদের মধ্যে ১০ ফুট উঁচু ফুলদানি, বিশাল ঝাড়লন্ঠন, বিভিন্ন মূর্তির দেখা মিলবে। এই প্রাসাদের দোতলাতে রয়েছে বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য তৈলচিত্র।
কলকাতার এই মার্বেল প্যালেসে ঢুকতে হলে সঙ্গে করে পরিচয় পত্র অবশ্যই নিয়ে যাবেন। সকাল ১১.০০ টা থেকে বিকেল ৪.০০ টে পর্যন্ত মার্বেল প্যালেস পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে।
আরও পড়ুন : পাহাড়, নদী থেকে সমুদ্র! রইল বর্ষা উপভোগ করার সেরা ৫ ঠিকানা
আরও পড়ুন : কলকাতার আশেপাশে উইকেন্ডে সময় কাটানোর সেরা ৪টি ঠিকানা
মাগেন ডেভিড সিনাগগ
ক্যানিং স্ট্রিট এবং ব্রেবোন রোডের খুব কাছেই রয়েছে ইহুদিদের এই উপাসনালয়। শান্ত নিরিবিলি এই পরিবেশ মন ভালো করবেই। কলকাতার বুকে অবস্থিত ইহুদিদের এমন সুন্দর উপাসনালয় বলতে গেলে সমগ্র এশিয়ার মধ্যে আর দুটি নেই। অসাধারণ সুন্দর এই সিনাগগের স্থাপত্য। জানলা এবং ছাদে রঙিন কাঁচ লাগানো আছে। যার মধ্যে থেকে সূর্যের আলো প্রবেশ করে। এখানে প্রতিদিন সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকেল ৪.০০ টের মধ্যে ঘুরে আসতে পারবেন।