সাধারণত সমুদ্র দর্শন এবং জগন্নাথ দেবের মন্দিরে দেব দর্শনের জন্যই পুরীতে যান আপামর বাঙালি। তবে পুরীতে যে এই দুই জায়গা ছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় রয়েছে ঘোরার মত তা অনেকেই জানেন না। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল পুরীর তিনটি বেড়ানোর জায়গার নাম যেগুলো সম্পর্কে জানেন না অনেকেই।
গোল্ডেন বিচ
পুরীতে গেলে গোল্ডেন বিচ ঘুরতে ভুলবেন না। একে বলা হয় স্বর্গদ্বার। স্বর্গদ্বার থেকে টোটোয় চেপে ১০ মিনিট গেলে পরিচ্ছন্ন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গোল্ডেন বিচের দর্শন পাবেন। পরিছন্নতার জন্য ব্লু ফ্ল্যাগ সার্টিফিকেসন পেয়েছে এই জায়গা। এখানে প্রবেশের জন্য মাথাপিছু ২০ টাকা দিতে হয়। দূষণ এবং প্লাস্টিক মুক্ত এই সমুদ্র সৈকত না দেখলে চরম মিস।
কীভাবে যাবেন?
পুরীর স্টেশন অথবা স্বর্গদ্বার থেকে টোটো বা অটো ভাড়া করে যাওয়া যাবে। দুপুরের পরিবর্তে ভোরবেলা কিংবা বিকেলবেলা গেলে সব থেকে ভালো উপভোগ করতে পারবেন।
রঘুরাজপুর
পুরীর খুব কাছেই রয়েছে রঘু রাজপুর নামের একটি গ্রাম। এখানে বংশ পরম্পরায় পটচিত্র শিল্পীরা বসবাস করছেন। রাসযাত্রা, বিষ্ণুর দশাবতার, জগন্নাথের স্বর্ণবেশ, আধ্যাত্বিক জগতের নানা খুঁটিনাটি বিষয় তারা সুপারিশ খোলে অথবা কাপড়ে নিপুন দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলেন। রঘুরাজপুর গ্রাম হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে ২০০০ সালে।
আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৮ রহস্য, আজও বিজ্ঞান যার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি
কীভাবে যাবেন?
পুরি থেকে ১১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম। অটো ভাড়া করে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ঘুরে আসা যাবে।
পিপলি
পিপলিও উড়িষ্যার একটি শিল্প গ্রাম। এখানে স্থানীয় মানুষের হাতে বোনা ছাতা, ব্যাগ, রকমারি পোশাক প্রচুর পাবেন। রঙিন কাপড় এবং রঙিন কাঁচ দিয়ে জিনিসগুলি বোনা হয়। অ্যাপ্লিকের কাজের নকশা করা বিভিন্ন জিনিসের দোকান রয়েছে এখানে। এখানে খুব কম দামে জিনিস পাবেন।
আরও পড়ুন : পুরীর রত্ন ভান্ডারে মোট কত সোনা আছে? শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার
আরও পড়ুন : পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাবেন? দেখুন সেরা ৪ টুরিস্ট স্পটের ঠিকানা
কীভাবে যাবেন?
পুরী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পিপলি গ্রাম। গাড়ি ভাড়া করে এখানে আসতে পারবেন।