বর্ষার সময় যারা কোথাও বেড়ানোর প্ল্যান করছেন তারা কোথায় যাবেন সেই ডেস্টিনেশন খুঁজে পেতেই হিমশিম খান। এই মরসুমের জন্য বেশিরভাগেরই পছন্দ পাহাড়। পাহাড়ের আবহাওয়া, পাহাড়ি নদী, জলপ্রপাত থেকে শুরু করে পাহাড়ের জঙ্গল এই সময় আরও বেশি মোহময়ী হয়ে ওঠে। পাহাড়ি ঝর্ণা কিংবা জলপ্রপাতগুলোর আসল রূপ যদি দেখতে হয় তাহলে বর্ষাই হল উপযুক্ত সময়। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল এমনই ৩ টি সেরা জলপ্রপাতের ঠিকানা।
আথিরাপল্লী জলপ্রপাত
দুধ সাদা আথিরাপল্লী জলপ্রপাত যদি দেখতে চান তাহলে জুন-জুলাই মাসেই সেখানে পাড়ি দিন। কেরালার এই জলপ্রপাতের দৃশ্য ফুটে উঠেছিল ঐশ্বর্য রায়ের বিখ্যাত নাচ ‘বর্ষো রে মেঘা মেঘা’তে। কেরালার ত্রিসুর জেলার চালাকুডি পঞ্চায়েত এলাকাতে এই জলপ্রপাত রয়েছে। চালাকুডি নদীর জল পাহাড় থেকে পড়ে এই জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানত আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের শুরুর দিকে এখানে আসলে সব থেকে ভাল ভিউ পাবেন। সকাল ৮.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টা পর্যন্ত এখানে ঘোরার অনুমতি পাওয়া যায়।
কীভাবে যাবেন?
বিমানপথে গেলে কোচি বিমানবন্দরে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে আথিরাপল্লী ৫৫ কিলোমিটারের পথ। আর যদি রেল পথে আসতে চান তাহলে সব থেকে কাছের রেজিস্ট্রেশন হলো চালাকুডি। অনেকের রেলপথে এর্নাকুলাম পর্যন্ত এসে তারপর সড়কপথে গাড়ি ধরে এখানে আসেন।
ধুঁয়াধার জলপ্রপাত
মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে ধুঁয়াধার জলপ্রপাত রয়েছে। নর্মদা নদী এই জলপ্রপাতের উৎস স্থল। প্রায় ৩০ মিটার উঁচু থেকে নদীর জল পাথুরে জমিতে আছড়ে পড়ে বাষ্প তৈরি করে। দেখলে যেন মনে হয় চারিদিক ধোঁয়ায় ভরে উঠেছে। সেই কারণেই এই জায়গার এরকম নাম হয়েছে। বৃষ্টির সময় নদীর জলস্তর বাড়ে। এই জলপ্রপাতের উপর দিয়ে আবার রোপওয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে আসলে সব থেকে ভালো। অনেকে শীতেও ঘুরতে আসেন।
কীভাবে যাবেন?
ট্রেন কিংবা বিমান উভয় পথেই আসতে পারবেন। জব্বলপুর পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ধরে ৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই ধুঁয়াধার জলপ্রপাতে পৌঁছে যাবেন।
আরও পড়ুন : দার্জিলিঙ যাওয়ার সেরা সময় কোনটা? কখন গেলে সেরা ভিউ পাবেন?
যোগ জলপ্রপাত
কর্ণাটকের শ্রীনগর জেলার যোগ জলপ্রপাতেরও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঘন সবুজ বনের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের একেবারে উপর থেকে নেমে আসে এই জলপ্রপাত। দেখলে যেন মনে হয় ছবির মত দৃশ্য। ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এখানে দুটি ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। এখান থেকে পাখি দেখা যায়, কায়াকিং করা যায়। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এলে সবথেকে ভালো ভিউ পাবেন।
আরও পড়ুন : এই দিনের আগে ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে! এরপরই বন্ধ হয়ে যাবে ডুয়ার্সের দরজা
কীভাবে যাবেন?
বিমানপথে যেতে চাইলে ম্যাঙ্গালোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ধরে যেতে হবে। রেলপথে আসতে চাইলে তালাগুপ্পা রেলস্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে এই জলপ্রপাতের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। বেঙ্গালুরু থেকে সড়ক পথে এলে ৪১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।